ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

জাভেদ মিঁয়াদাদের রেকর্ড ছুঁয়ে ভাস্বর কামিন্দু

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ৩১ মার্চ ২০২৪  
জাভেদ মিঁয়াদাদের রেকর্ড ছুঁয়ে ভাস্বর কামিন্দু

সিলেটে দুই টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কামিন্দু মেন্ডিস হাওয়ায় উড়ছিলেন। সেঞ্চুরির সেই সুবাতাস প্রায় চলে এসেছিল চট্টগ্রামেও। নিজের সবটুকু দিয়ে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে কামিন্দু এগিয়ে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ভাগ্যদেবী পাশে না থাকায় তার সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। অবশ্য তার নিয়ন্ত্রণে ছিলও না। শ্রীলঙ্কার এগারতম ব্যাটসম্যান আসিথা যখন রান আউট হন তখন অপরপ্রান্তে ৯২ রানে অপরাজিত কামিন্দু। ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে তার ফিরে যেতে হয় ড্রেসিংরুমে।

তবে ৯২ রানের দ্যুতিময় ইনিংস খেলে কামিন্দু ইতিহাস ছুঁয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের গৌরবময় পাতায় যে ইতিহাস লিখেছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি জাভেদ মিঁয়াদাদ। টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম চার ইনিংসে জাভেদ মিঁয়াদাদ ৪১৯ রান করেছিলেন। কামিন্দু ৯২ রানের ইনিংস খেলে ওই রেকর্ড ছুঁয়েছেন। ইনিংস গড়ার পথে তার রেকর্ড নিয়ে চিন্তা ছিল না। তবে কিংবদন্তির পাশে নাম লিখিয়ে আপ্লুত কামিন্দু।

রোববার দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কামিন্দু বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমার ওই সময়ে কোনো ধারনা ছিল না। জাভেদ মিঁয়াদাদ একজন কিংবদন্তি। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে রান করে আমি আনন্দ পাচ্ছি। সত্যিই বলছি এই রেকর্ড নিয়ে আমার ধারনা ছিল না একদমই। আমি খুশি যে আমি রেকর্ডে ভাগ বসাতে পেরেছি। সঙ্গে দলের জন্য আমি অবদান রাখতে পেরেছি।’

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করেছে। তবে তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই পাননি সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। দলের ছয় ব্যাটসম্যান ফিফটি পেরুলেও কেউ সেঞ্চুরি পাননি বলে উদ্বিগ্ন নন কামিন্দু। দলের পরিকল্পনা ছিল পাঁচশর বেশি রান করা।

ওই রান করে তৃপ্ত তিনি, ‘‘আমার সেঞ্চুরি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ছিলো দলের রান পাঁচশর বেশি নিয়ে যাওয়া। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল পাঁচশর বেশি রান করা এবং শেষ ঘণ্টায় তাদেরকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো। আপনি কখনো না কখনো সেঞ্চুরি পাবেন। কখনো পাবেন না। কিন্তু দলীয় লক্ষ্য পূরণ করা জরুরী। আমি খুশি যে আমাদের দলীয় লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ছয় হাফ সেঞ্চুরিতেই সেটা সম্ভব হয়েছে।’

উইকেটে ব্যাটিং করা সিলেটের চেয়ে সহজ দাবি করে কামিন্দু বলেছিলেন, ‘শেষ ম্যাচের থেকে এখানের উইকেটে ব্যাটিং করা আরামদায়ক ছিল। তবে সামনে স্পিনাররা ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে সামনের দুদিন। তবে ব্যাটিং করা এখানে সহজ।’

স্কোরবোর্ডে পাঁচশর বেশি রান করায় ম্যাচে নিশ্চিতভাবে তারা এগিয়ে আছে। সামনে বাংলাদেশকে আরো চাপে ফেলতে চায় অতিথিরা, ‘আমাদের বোলাররা ভালো করছে। তিনজন পেসার আছে। একজন স্পিনার এবং দুজন অলরাউন্ডার আছে। সকালে যদি আমরা ২-৩টি উইকেট নিতে পারি দ্রুত আমরা ওদের থেকে এগিয়ে যাবো। প্রথম ঘণ্টা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়