একপেশে ম্যাচে মোহামেডানকে উড়িয়ে আবাহনীর দাপুটে জয়
সবশেষ আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে কবে জিতেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব? উত্তর খুঁজতে যেতে হবে ৯ বছর পেছনে, ২০১৫ সালে। এরপর থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দুই দলের মহারণে ফল একটাই, সাদাকালো ক্লাবকে কাঁদিয়ে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এবারের আসরে শুরু থেকে মোহামেডানের জয়রথ দিচ্ছিল মহারণের আভাস। কিন্তু মাঠের খেলায় লড়াইয়ের ছিটেফোঁটা ছিল না। খান সাহেব ফতুল্লা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৯০ রান করে মোহামেডান। তাড়া করতে নেমে ৩৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ৮টি ম্যাচ খেলে কোনো ম্যাচেই হারেনি আবাহনী। এ দিকে সমান ম্যাচে মোহামেডানের এটি দ্বিতীয় হার।
দলীয় ১৬ রানে এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে অবশ্য লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন আবু হায়দার রনি। কিন্তু তা হতে দেয়নি নাঈম শেখ-জাকের আলী অনিকের জুটি। দুজনের জুটি থেকে আসে ১০৬ রান। নাঈম ৬৩ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর আফিফকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন জাকের। দুজনে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে জাকেরের ব্যাট থেকে। ৩৯ রান করেন আফিফ। মোহামেডানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার-নাসুম আহমেদ।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে মান বাঁচে মোহামেডানের। ৮৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল। এক প্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল অন্যপ্রান্তে লড়ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ক্রিজে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
শেষ দিকে আরিফুল হক ৩৩ ও আবু হায়দার রনি ২২ রান করে অবদান রাখেন সম্মানজনক পুঁজিতে। কামরুল ইসলাম রাব্বি ১১ ও আসিফ হাসান ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ না হতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। সেই ধাক্কা কোনোমতে সামলে উঠলেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি। ১০ রানে রনি তালুকদারের আউটে শুরু হয় পতন। একে একে ফেরেন ইমরুল কায়েস (২), রুবেল মিয়া (১১) মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৫) ও আরিফুল ইসলাম (১৯)।
এরপর মাহমুদউল্লাহ-আরিফুল হকরা এগোতে থাকেন। কিন্তু থিতু হয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আবাহনীর সামনে সহজ লক্ষ্যই বলা যায়। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়