ঈদের পর টেস্টে ব্যর্থতার কারণ খুঁজবে বিসিবি
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে গো হারা হেরেছে বাংলাদেশ। লঙ্কান ব্যাটাররা দলকে রান বন্যায় ভাসালেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ফিল্ডিংয়ে হাত ফঁসকে পড়েছে ক্যাচের পর ক্যাচ। নীতি নির্ধারকরাও মানতে পারছেন না এমন ব্যর্থতা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন তারা এমন ব্যর্থতার কারণ খুঁজবেন। নির্বাচক প্যানেলসহ নাজমুল হোসেন শান্তদের ডেকে ঈদের পর ব্যর্থতার রিভিউ করবে বোর্ড।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নারীদের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পুরস্কার বিতরণীর পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন জালাল। এ সময় তিনক বলেন, ‘ঈদের পর নির্বাচক, কিছু প্লেয়ার, ক্রিকেট অপারেশন্স আমরা সবাই বসব। আমরা রিভিউ করব।’
‘আমাদের যে রিসোর্স আছে তাদের নিয়েই তো খেলতে হবে। আপনি এর বাইরে কীভাবে যাবেন। আমাদের প্লেয়ার তারাই খেলছে এখানে। হ্যাঁ, জাতীয় দলের প্লেয়ারদের সাথে বাকিদের একটা তফাত থাকে। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি মানসম্পন্ন প্লেয়ার খেলানোর। আমরা নজর দিচ্ছি সেদিকে।’ -আরও যোগ করেন জালাল।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হারে ৩২৮ রানে। ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও হয়নি দাঁড়ানো, চট্টগ্রামে শুধু কমেছে হারের ব্যবধানটাই। ১৯২ রানে হেরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়।
এই হারের ধরণ মানতে পারছেন না জালাল, ‘আসলে ম্যাচ তো হারতেই পারে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নাই। যেটা সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যদি ওরা ৫০০ রান করতে পারে তাহলে আমরা ৪৫০ করতে পারলাম না কেন? ৪০০+ করতে পারলাম না কেন? এখানে বড় একটা আক্ষেপ আছে।’
‘হোম গ্রাউন্ড। দুইটা ভালো উইকেটে খেলেছি। আমরা চট্টগ্রাম এবং সিলেট নিয়েছিলাম ব্যাটারদের সুযোগ দেওয়ার জন্য যাতে ব্যাটাররা রান করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়েছে টেস্টে যারা নতুন প্লেয়ার খেলছে ওদের একটু সময় দিতে হবে।’
রিয়াদ/আমিনুল