সামনে ‘এ’ দলের ব্যস্ত সময়
জয়ের পর যেমন ভুলগুলো আড়াল হয়ে যায়। ঠিক তেমনি হারের পর সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয় সামান্যই। ‘জোড়াতালি’ দিয়ে ব্যর্থতা ঢাকার যে অপচেষ্টা তা সামনে আরও বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে এবার বিসিবি তেমন কিছুই করছে না। বরং ক্রিকেটারদের কথাই যেন শুনছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ‘এ’ দলের কার্যক্রম চালুর কথা বলেছিলেন। তার দাবি ছিল, ‘আমরা কোনো সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে সেখানে যদি ‘এ’ দল পাঠাতে পারি তাহলে সবচেয়ে কার্যকরী হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে বা যারা এক-দুটি সংস্করণে খেলে, ওরা যদি আগে দিয়ে এক-দুটি ম্যাচ খেলতে পারে, তাহলে কিন্তু প্রস্তুতিটা খুব ভালো হবে। ওই উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারনা হবে।’
এই বছর টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে প্রচুর সময় দেবে বাংলাদেশ। পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলবে। এই সিরিজগুলোকে সামনে রেখে ‘এ’ দলের সিরিজ বাড়ানো, লাল বলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলেছিলেন অধিনায়ক।
তার কথায় কাজ হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। সামনের কয়েক মাসে ‘এ’ দলের একাধিক সিরিজ আয়োজনে পরিকল্পনা করছে বিসিবি। আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু এমওইউ সাইন করার অপেক্ষা। এ খবর নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বুধবার মিরপুরে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে দুইটা সিরিজ আছে (‘এ’ দলের)। নিউ জিল্যান্ড সেপ্টেম্বরের পর আসবে। আমরা এরই মধ্যে পরিকল্পনা করেছি। সিনিয়র ক্রিকেটার, অধিনায়কের সঙ্গে বসেছি। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই পর্যন্ত ভালো একটা সময় আছে।’
‘আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে। ভারতের সঙ্গে খেলা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে আছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে লাল বল যারা খেলছে তাদের নিয়ে যেন কাজ করা যায়। চিন্তা ভাবনা করছি। পরিকল্পনা করছি।’
‘এ’ দলের সিরিজে দুই বা তিনটি চারদিনের ম্যাচ এবং তিনটি করে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইয়াসিন/আমিনুল