দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে বিবর্ণ মোস্তাফিজ
শুরুটা হয়েছিল দারুণ। কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ ওভারের চ্যালেঞ্জে তাকে বাজি ধরেছিলেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড। তবে প্রতিদান দিতে পারলেন না বাংলাদেশী পেসার। দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে থাকলেন মোস্তাফিজ। ঋতুরাজের সেঞ্চুরি ম্লান করে লক্ষ্ণৌকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিলেন মার্কাস স্টয়নিস।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ঋতুরাজের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের পুঁজি পায় চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে স্টয়নিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে লক্ষ্ণৌ।
শেষ ওভারে জিততে লক্ষ্ণৌর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার হজম করেন মোস্তাফিজ। পরের বলে নো বল সহ হজম করেন পাঁচ রান। এরপর ফ্রি হিটে আরেকটি চারে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান স্টয়নিস। ৬৩ বলে ৬ ছক্কা ও ১৩ চারে তিনি অপরাজিত থাকেন ১২৪ রানে। বিবর্ণ দিনে ৩.৩ ওভারে মোস্তাফিজ খরচ করেন ৫১ রান, নেন ১ উইকেট।
ম্যাচে পঞ্চম ওভারে প্রথমবার বল হাতে পান বাংলাদেশি পেসার। প্রথম বলে চার হজম করলেও পরের পাঁচ বলে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেট। এরপর পঞ্চদশ ওভারে ফের তাকে আক্রমণে আনেন ঋতুরাজ। সেই ওভারে ১৩ রান খরচ করেন এই বাঁহাতি। অষ্টাদশ ওভারে হজম করেন ১৫ রান।
এর আগে অধিনায়ক ঋতুরাজের অপরাজিত সেঞ্চুরি ও শিভাম দুবের বিস্ফোরক ফিফটিতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে চেন্নাই। ৬০ বলে ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৮ রান করেন ঋতুরাজ। তার সঙ্গে ৪৬ বলে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পথে রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুবে। ২৭ বলে সাত ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬৬ রান।
ঢাকা/বিজয়