রোমাঞ্চকর জয়ে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কেন এতোটা জনপ্রিয় সেটা আরেকবার দেখা গেল। দেখালো পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ১০ রান। পঞ্চম বলে ৪ মেরে শেষে বলের সমীকরণ ৬ রানে নিয়ে এলেন ইমাদ ওয়াসিম। কিন্তু জিমি নিশামের শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না তিনি। তাতেই ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) লাহোরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে নিউ জিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ফখর জামানের ফিফটির পরও ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে কিউইরা এগিয়ে গেল ২-১ ব্যবধানে।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অলি রবিনসন ও টম ব্লান্ডেলের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় নিউ জিল্যান্ড। ১৫ বলে ২৮ রান করে ব্লান্ডেল বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। এরপর ৩৪ বলে ফিফটির পরপরই ৩৬ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেন রবিনসন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার।
এই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি মার্ক চ্যাপম্যান। ৯ বলে করেন ৮ রান। তিনে নেমে ২৬ বলে ৩৪ রান করেন ডিন ফক্সক্রফট। এরপর অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলের ২০ বলে ২৭ রানের সুবাদে দেড়শ ছাড়িয়ে যায় সফরকারীরা। নিশাম অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১১ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে আব্বাস আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারে বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান।আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবও নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেননি। আউট হন ১৫ বলে ২০ রান করে। উসমান খান ও শাদাব খান টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
এরপর পঞ্চম উইকেটে ৪১ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন ফখর ও ইফতিখার আহমেদ। দুজন মিলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষ ৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৪৬ রান। ইনিংসের ১৭তম ও কোটার শেষ ওভারে ইফতিখারকে ফেরান ও’রোক। পরের ওভারে ফিরে যান ফখরও। সেখানেই শেষ পাকিস্তানের আশা।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টি জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। লাহোরেই আগামী শনিবার হবে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচ পাকিস্তানের জন্য বাঁচা-মরার। জিতলে সিরিজ সমতা হারলে উল্লাস করবে কিউইরা।
ঢাকা/বিজয়