ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে কী বোঝাতে চাইলেন মুশফিক

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ২৬ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৩:০৬, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে কী বোঝাতে চাইলেন মুশফিক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। যে বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলে দিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। গতকাল ম্যাচের ঘটনা নিয়ে আজ ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে ক্যাচের ছবি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুশফিক।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজ থেকে আবু হায়দার রনির নেওয়া ওই ক্যাচের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন মুশফিক। তাতে লাল বৃত্ত দিয়ে আবু হায়দারের পা স্পর্শ করা বাউন্ডারি রোপের জায়গাটা চিহ্নিত করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘মাশা আল্লাহ।’ এর সঙ্গে ‘স্যালুট’ দেওয়ার তিনটি ইমোজিও জুড়ে দেন। 

মুশফিকের এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, গতকালের আউট নিয়ে এখনো ক্ষোভ রয়ে গেছে তার। মুশফিকের ওই পোস্টে আবার মন্তব্য করেছেন প্রাইম ব্যাংকের পেসার রুবেল হোসেন। তিনি লিখেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই।’

আরো পড়ুন:

এদিকে মুশফিক যার ছবি দিয়ে পোস্ট করেছেন, মোহামেডানের পেসার আবু হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাইজিংবিডিকে আবু হায়দার বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করবো না এই বিষয়ে।’

এর আগে গতকাল মোহামেডানের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে নাঈম হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে কাউ কর্নারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি। বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন।

কিন্তু ডাইভ দিয়ে উঠতে গিয়ে রনির পা স্পর্শ করে বাউন্ডারি রশিতে। তবুও ক্যাচ নিয়ে রনি উঠেই দেন ভোঁ দৌড়। উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন মুশফিক। যেতে গিয়েও গেলেন না মুশফিক। প্রাইম ব্যাংক এটি ছয়ের আবেদন জানায়। প্রায় মিনিট পনেরোর মতো সময় বন্ধ থাকে খেলা।

রিপ্লে’তে দেখা যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেওয়ার পর রনি ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে গড়ান দেন। বল হাত থেকে না ফঁসকালেও ওঠার সময় বাঁধে বিপত্তি। পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত এটিকে আউট ঘোষণা করেন।

অবশ্য একটা পর্যায়ে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন মোহামেডানের উপর। মোহামেডান যদি মেনে নট আউট মেনে নেয় তাহলে মুশফিক মাঠে থাকতে পারবেন। তবে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নারাজিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে।

তবে ক্যাচ নেওয়ার পর আবু হায়দারের পা বাউন্ডারি দড়ি ছুঁয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। ছক্কা নাকি আউট—এ বিতর্কে প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ড্রেসিংরুম থেকে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বেরিয়ে আসেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তামিমকে। 

সেটির রেশ ছিল ম্যাচের পরও। ৩৩ রানে হারার পর প্রাইম ব্যাংকের কোনো খেলোয়াড় মোহামেডানের কারও সঙ্গে রীতি অনুযায়ী হাত মেলাননি। তামিম বেরিয়ে এলেও দুই আম্পায়ার মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকিরের সঙ্গে কথা বলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান।

এ ব্যাপারে আম্পায়ার সাথিরা জাকির রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তামিম ভাই উনাদের চাওয়া ছিল মোহামেডান আউট প্রত্যাহার করুক। মুশফিক ভাই নিয়ম মেনে দাঁড়িয়ে ছিল। মুশফিক ভাইর ভাষ্য ছিল, তোমরা বললে আমি বের হয়ে যাবো কোনো সমস্যা নেই। উনিতো বের হয়ে যাচ্ছিল।’ 

‘বিষয়টা নিয়ে আমাদের কিছু করার ছিল না। কারণ, অনফিল্ড আম্পায়ারের ওটা দেখার সুযোগ ছিল না। নিয়ম যেটা হলো ফিল্ডার যা বলবে তা বিশ্বাস করতে হবে। আমরা এটা বিশ্বাস করেছি। নিয়মনুযায়ী আমরা ঠিক ছিলাম।’ – আরও যোগ করেন সাথিরা।

ঢাকা/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়