শান্ত-তাসকিনসহ ১০ ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না আবাহনী, একাদশ গড়ায় বিপত্তি

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় সংকটের কারণে চলমান ঢাকা লিগের সুপার লিগের খেলা পিছিয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। কিন্তু দলটির বিপক্ষে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টির জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে আবাহনী লিমিটিডের ১০ ক্রিকেটার থাকায় বিপাকে পড়েছে ক্লাবটি। 

২২ এপ্রিল থেকে দুই দিন করে বিরতিতে সুপার লিগের দুই রাউন্ড খেলা শেষ হয়। তৃতীয় রাউন্ড শুরুর আগে ক্যাম্পের জন্য দেওয়া হয় চার দিন বিরতি। ক্যাম্প শেষ হলেও ৩০ এপ্রিল সুপার লিগের তৃতীয় রাউন্ডে স্কোয়াডে থাকা কোন ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না ক্লাবটি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটারকে দেওয়ার বিষয়ে আবাহনীকে সবুজ সংকতে দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপাররেশন্স কমিটি। 

সোমবার দুপুরে আবাহনীর ম্যানেজার মাসুম ইকবাল মামুন রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যাদেরকে প্রথম ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখা হবে এমন তিন-চারজনকে চেয়েছি। মনে হয় দেবে না। আমরা এখন পর্যন্ত সাড়া পাইনি।’

মৌসুম শুরুর আগে আবাহনী ২০ ক্রিকেটারকে নিয়ে দল গঠন করে। তার মধ্যে অধিকাংশই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। ১০ ক্রিকেটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাক পাওয়ায় একাদশ গঠনে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির ম্যানেজার। 

‘আমার ১০ জন প্লেয়ার নেই। বাকি ১০ জনের মধ্যে একজনের ইনজুরি। দুজন একবারে নতুন। আমাকে ক্রিকেটার খুঁজতে হচ্ছে। কাউকে না পেলে বাইরের ক্রিকেটার রেজিস্ট্রেশন করে নামাতে হবে। এ ছাড়া তো উপায় নেই’-বলছিলেন মামুন। 
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাক পাওয়া আবাহনীতে খেলা ১০ ক্রিকেটার হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাশ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ও সাইফ উদ্দিন।

আবাহনীর এই কর্মকর্তা জানান দল গঠনের আগেই তারা বিসিবিতে আবেদন করে রেখেছিলেন। দল ঘোষণার পর তিনি কিছুটা অবাকই হয়েছেন। 

মামুন বলেন, ‘আমাদের ১০টা প্লেয়ারই যে থাকবে আমরা চিন্তা করিনি। ৬/৭টা যাবে চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের ১০টাই নিয়ে গেছে। আমি উনাদের বলেছি ১০টাই যেহেতু নিয়েছেন আরও কয়েজন যোগ করে আবাহনীর টিমকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলিয়ে দেন।’

১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চলতি মৌসুমে আবাহনী ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সমান ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পয়েন্ট ২০। পরের তিন ম্যাচে তারা জিতলে এবং আবাহনী সবকটিতে হারলে দুই দলের পয়েন্ট হবে ২৬। তখন হেড টু হেড হিসেব আসবে। দুই দল একটি করে ম্যাচ জেতায় হেড টু হেডও সমান হবে। কিন্তু রান রেটে অনেক এগিয়ে আবাহনীর। তাই তো আবাহনীর শিরোপা পেতে নেই কোনো বাঁধা। 

নির্বাচক হান্নান সরকারের কাছে ৩০ এপ্রিলের জন্য কোনো ক্রিকেটারকে ছাড়া হবে কী না জানতে চাইলে তিনি রাইজিংবিডিকে জানান, এটি ক্রিকেট অপারেশন্সের ব্যাপার। তবে ক্রিকেট অপারেশন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।