ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

জয়ে-ই শিরোপা উদযাপন আবাহনীর

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪  
জয়ে-ই শিরোপা উদযাপন আবাহনীর

আগের ম্যাচেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবুও অপেক্ষা ছিল আরেকটি জয়ের। কোনো সমীকরণ ছাড়া শিরোপা জেতার অপেক্ষা। যে অপেক্ষা ফুরাল আজ মঙ্গলবার বিকেএসপিতে শেখ জামালকে হারিয়ে।

শেখ জামালের দেওয়া ২৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের শেষ দুই বলে মাত্র ১ রান দরকার ছিল আবাহনীর। দলের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন তখন ৪৭ রানে ব্যাটিং করছিলেন। দলের জয়ের সঙ্গে তারও ফিফটির হাতছানি। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামের লেন্থ বল লং অন দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে মোসাদ্দেক পূরণ করেন নিজের ফিফটি। নিশ্চিত করেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর ২৩তম শিরোপা।

প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী মানেই শিরোপার জয়জয়কার। সর্বোচ্চ ২৩ বার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে তারা। ১০ বারও জিততে পারেনি আর কোনো ক্লাব। আবাহনী হ্যাটট্রিক শিরোপাই জিতেছে তিন দফায়।

আরো পড়ুন:

এবারও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভিড়িয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামে তারা। পারফরম্যান্সেও সেই প্রভাব ছিল স্পষ্ট। রাউন্ড রবিন লিগে সবকটি ম্যাচে তারা জিতে। নিশ্চিত করে ২২ পয়েন্ট। এরপর সুপার লিগের দুই ম্যাচ জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে। আজ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ আগেই শিরোপা উদযাপন করে আকাশী নীল শিবির।

তাদের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মোসাদ্দেক। বল হাতে ৫ ওভারে ২৭ রানে কোনো উইকেট না পেলেও ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে ৪ ছক্কায় ৫৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন।

এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। ৮৮ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া এনামুল হক বিজয় ৮০ বলে ৬৭ রান করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ দিকে নাহিদুলের ১৯ বলে ২৪ রানও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

এই ম্যাচে আবাহনীর শিরোপা ছাড়াও বাড়তি নজর ছিল সাকিব আল হাসানের দিকে। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে সাকিব কেমন করেন সেটাই ছিল দেখার। হতাশ করেননি বাংলাদেশের সুপারস্টার। ব্যাটিংয়ে ৫৬ বলে করেছেন ৪৯ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। ফিফটি থেকে ১ রান দূরে থাকতে পেসার তানজিমের বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন। এরপর বোলিংয়ে ৩৪ রানে নেন ১ উইকেট।

শেখ জামালের বড় সংগ্রহের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান জিয়াউর রহমানের। নয়ে নেমে ৫৮ বলে ৮৫ রান করেন তিনি। ঝড় তুলে ৮টি ছক্কা হাঁকান। চার ছিল ৬টি। এছাড়া অধিনায়ক সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।

আবাহনীর হয়ে বল হাতে ৬২ রানে ৩ উইকেট নেন তানজিম হাসান। স্পিনার রাকিবুল ২৯ রানে পেয়েছেন সমান ৩ উইকেট।  

২৮ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে দুই ম্যাচ আগেই। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকা মোহামেডান শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ২৬। আবাহনী কোনো ম্যাচ না জিতলেও ২ পয়েন্ট এগিয়ে শিরোপা পেয়ে যাবে।

ইয়াসিন/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়