উদ্বেগের জায়গা টপ অর্ডার
প্রস্তুতি শেষ। শেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যাকে, যেখানে, যেভাবে বাজিয়ে দেখার দরকার ছিল, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেটাই করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে তৃপ্ত দল নেতা নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উদ্বেগ কি শেষ? উন্নতির কোনো জায়গা কি নেই?
অধিনায়ক জানালেন, উদ্বেগ আর উন্নতির জায়গা টপ অর্ডারের ব্যাটিং। শুরুতে ব্যাটিং ঠিকঠাক হলে পরবর্তীতে ছন্দ থাকছে না। ব্যাটিংয়ে যে ছন্দের খোঁজে পুরো দল। শান্তর ভাষ্য, ‘টপ অর্ডারে আমরা আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতে পারি। তাহলে আমার মনে হয় দলের জন্য ভালো হবে। ছন্দটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা কথাও বলবো, যে উইকেটে খেললাম এটা নিয়ে চিন্তা না করে সামনের জন্য চিন্তা করা ভালো। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে দলটা ভালো করবে।’
সিরিজে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেছেন তানজিদ হাসান। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪০ রান। তানজিদ ২টি ফিফটি পেয়েছেন। তাওহীদের ব্যাট থেকে আসে আরেকটি ফিফটি। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত রান বড় না হওয়ায় বড় হয়নি দলীয় রানও।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করতে নেমে সর্বোচ্চ ১৬৫ রান করে ৫ উইকেটে। এছাড়া আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের রান ১৫৭ ও ১৪৩। এছাড়া লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ করেছে ১৪২ ও ১২৬। ব্যক্তিগতভাবে শান্তও জ্বলে উঠতে পারেননি। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ খেলে রান করেছেন মাত্র ৮১।
দলের প্রত্যাশা মেটাতে না পারলেও শান্ত ততটা চিন্তিত নন। সামনে ভালো করার সুযোগ দেখছেন তিনি, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী আমার ব্যাটিংটা হয়নি। কিন্তু আমি আমার যে প্রসেস বা স্কিল নিয়ে কিভাবে ডেভেলাপ করতে পারি সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। প্রত্যেকটা সিরিজ একটা ব্যাটসম্যানের ভালো যাবে এরকম কিছু না। এটা অলরেডি অতীত হয়ে গেছে। সামনে চিন্তা করছি ভালো কিছু করার।’
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ দুটি উদ্বোধনী জুটির পরীক্ষা নিয়েছে। চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তানজিদ ও লিটন। পরের দুই ম্যাচে তানজিদের সঙ্গী সৌম্য। ৩ ম্যাচে মাত্র ৩৬ রান করা লিটন ঢাকায় দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি। তার পরিবর্তে নামা সৌম্যও তেমন ভালো করতে পারেননি। আজ ৭ রানে আউট হওয়ার আগে চতুর্থ ম্যাচে করেছিলেন ৪১ রান। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী জুটি কেমন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের? শান্ত সোজাসাপ্টা কোনো উত্তর দেননি। বলেছেন, ‘এখানে সব কিছু চেষ্টা করেছি। এটাও একটা পরিকল্পনা ছিল লিটনকে দুই ম্যাচে ব্রেক দিয়ে সৌম্যকে খেলাবো। ও ইনজুরিতে ছিল। যে তিনজন ওপেন করলো তিনজনেরই সুযোগ আছে এগারজনে থাকার। প্রতিপক্ষের উপরে নির্ভর করবে আমরা ওপেনিংয়ে কাকে পাঠাব।’
লিটনকে বিশ্রামে দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের সঙ্গে রেখে ঘষামাঝা করা হচ্ছে। রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি শেষে সাকিব প্রায় দুই ঘণ্টা অনুশীলন করেছেন। সাকিবের পর সেন্টার উইকেটে ঘাম ঝরান লিটন। জাতীয় দলে পারফর্ম না করলে তিনি যে আর অটোচয়েজ নন তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভালোভাবেই। সেই বার্তা পেয়ে বাড়তি সচেতন লিটন।
ইয়াসিন/আমিনুল