শাহীন-বাবর-রিজওয়ানে সিরিজ পাকিস্তানের
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে ক্রিকেট খেলে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে আয়ারল্যান্ড। তবে পরের দুটিতে আর সুবিধা করতে পারেনি তারা। পাকিস্তান দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয়। নিশ্চিত করে ২-১ ব্যবধানের সিরিজ জয়। মঙ্গলবার রাতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটে, ১৮ বল হাতে রেখে।
ডাবলিনে এদিন আইরিশরা আগে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদির বোলিং তোপের মুখেও ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ভর করে ১৭ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।
রান তাড়া করতে নেমে ১৬ রানেই সিয়াম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিনি ১১ বলে ৩ চারে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অবশ্য রিজওয়ান ও বাবর ৭৪ বলে ১৩৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন।
দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় রিজওয়ান ফিরেন ৩৮ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলে। বাবরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এরপর। ১৫৮ রানের মাথায় তিনিও ফেরেন সাজঘরে। তবে যাওয়ার আগে ৪২ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলে যান। ১৬৭ রানের মাথায় ইফতিখার আহমেদ ৫ রান করে ফিরলেও আজম খান ৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়াং।
তার আগে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের লাগাম টেনে ধরেন শাহীন ও আব্বাস আফ্রিদি। সঙ্গে মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম চাপ তৈরি করেন। তাতে আইরিশদের তিনজন ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে অধিনায়ক লরকান টাকার একপ্রান্ত আগলে ৪১ বলে ১৩টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। অ্যান্ডি বালবিরনি ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩৫ রান। আর হ্যারি টেক্টর ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ১৭৮ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে শাহীন ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আব্বাস আফ্রিদি অবশ্য ব্যয়বহুল ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া আমির ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ১টি ও ইমাদ ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।
ম্যাচসেরা হন শাহীন আফ্রিদি।
ঢাকা/আমিনুল