ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘সোনার বাংলার’ বিশেষ থিমে তৈরি বাংলাদেশের জার্সি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ২৭ মে ২০২৪   আপডেট: ২১:৫৬, ২৭ মে ২০২৪
‘সোনার বাংলার’ বিশেষ থিমে তৈরি বাংলাদেশের জার্সি

কাঁধ থেকে হাতা পর্যন্ত লাল রঙের ছাপ। কাঁধের একটু নিচে বুকের দুই পাশে আছে সোনালি রঙের ছোঁয়া। যেটাকে বলা হয় ‘গোল্ডেন পাইপিং’। বাকি জায়গা জুড়ে সবুজের সমারোহর মাঝে বাঘের ডোরাকাটা ছাপ।

বুকের মধ্যিখানে সাদা হরফে বড় করে লেখা বাংলাদেশ। দেশের নামের উপরের দুই পাশে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লোগো। গোল কলারের এই জার্সি পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।

গতকাল মধ্যরাতে বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন করে বিসিবি। প্রায় ৭টি জার্সি থেকে এটিকে বাছাই করে বোর্ড। জার্সি বাছাইয়ের কমিটিতে ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ।

আরো পড়ুন:

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। জার্সি তৈরি থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি দেখভাল করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।

সোমবার (২৭ মে, ২০২৪) রাইজিংবিডিকে নাফিস শুনিয়েছেন বিশ্বকাপ জার্সি তৈরির পেছনের গল্প। জার্সি বাছাই নিয়ে নাফিস বলেন, ‘আমাদের কাছে ৬/৭টি ডিজাইন আসে। সেখান থেকে আমরা একটি পছন্দ করি। এটি বাছাইয়ের পেছনেও একটি কারণ (থিম) রয়েছে।’

কি থিম এবারের জার্সির? নাফিস বলেন, ‘বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে বলা হয়ে থাকে। সেটি বিবেচনায় এনে গোল্ডেন পাইপিং (সোনালি রঙ) দিয়েছি। কাঁধ ও হাতায় লাল রঙ ব্যবহার হয়েছে অগ্নি স্ফূলিঙ্গ হিসেবে। আর পুরো বডি হচ্ছে পতাকার রঙের সবুজ। ভেতরে বাঘের ডোরাকাটা ছাপ।’

এবারের জার্সিতে ছোট গোল কলার ব্যবহার করা হয়েছে। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিল বড় কলার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বলে একটু ভিন্নতা আনতে ব্যবহার করা হয় ছোট কলার।

জার্সি তৈরিতে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সিতেও সেটি তুলে ধরা হয়েছে। তবে জার্সি উন্মোচননের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

আগামীকাল ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১ জুন ভারতের বিপক্ষে হবে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ।  ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্তদের বিশ্বকাপ। বাকি তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। প্রথম দুটি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে বাকি দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

রিয়াদ/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়