রিয়ালের রাজত্ব বিস্তার নাকি ডর্টমুন্ডের অপেক্ষার অবসান
জার্মানির ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড সবশেষ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৭ সালে। জুভেন্টাসকে হারিয়ে সেই শিরোপা জেতার পর কেটে গেছে ২৭ বছর। আর শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। মাঝে ২০১৩ সালে ফাইনালে গিয়েও হয়েছিল হৃদয় ভঙ্গ। বায়ার্নের কাছে সেই শিরোপা হাতছাড়া করারও পেরিয়ে গেছে ১১ বছর। অবশেষে আবার তারা ফাইনালে। ২৭ বছর পর আরও একবার শিরোপা জয়ের সুযোগ।
কিন্তু তাদের সামনে যে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। যারা রেকর্ড ১৪টি শিরোপা জিতেছে। ১৯৮১ সালের পর ফাইনালে উঠে কখনোই হারেনি তারা। ২০২২ সালে ১৪তম ইউরোপ সেরার ট্রফি জেতা রিয়ালের সামনে এবার রেকর্ড ১৫তম শিরোপা জয়ের সুযোগ। তাদের রাজত্বে হানা দিয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড পারবে কি শিরোপা জিততে? লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেটার ফয়সালা হবে আজ শনিবার দিবাগত রাতে। হয় রিয়ালের রাজত্ব বৃদ্ধি পাবে। নতুবা ডর্টমুন্ডের উত্থানের গল্প লেখা হবে।
এবারই প্রথম ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দল দুটি মুখোমুখি হচ্ছে না। এর আগে আরও ১৪ বার দেখা হয়েছিল তাদের। সেখানে ৬ বার জিতেছে রিয়াল। তিনবার জিতেছে বরুসিয়া। ২০১৪ সালে দল দুটি কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম লেগে রিয়াল ৩-০ গোলে জিতলেও ফিরতি লেগে বরুসিয়া জিতে ২-০ ব্যবধানে।
১৯৯৭-১৯৯৮ মৌসুমে সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল দল দুটির। সেবার বরুসিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল রিয়াল। এরপর ২০১৩ সালেও সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল তাদের। সেবার রিয়ালকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল জার্মানির ক্লাবটি।
এই ফাইনালে অবশ্য রিয়ালই ফেভারিট। লা লিগার শিরোপা জেতা স্প্যানিশ ক্লাবটি গেল জানুয়ারি থেকে টানা ২৫ ম্যাচে অপরাজিত। তবে ফাইনালের আগে ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের গোলরক্ষক অ্যান্ড্রিয় লুনিন। সেক্ষেত্রে থিবাউট কোর্তোয়া থাকবেন পোস্টের নিচে। এই ফাইনালের মধ্য দিয়ে রিয়ালের অধ্যায় শেষ করবেন টনি ক্রুস। শেষবারের মতো তিনি ইডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা, ফেদেরিকো ভালভার্দে ও লুকা মদ্রিচদের সঙ্গে মাঠে নামবেন। আক্রমণভাগে থাকবেন রদ্রিগো ও ভিনিসিউস জুনিয়র। সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক জোসেলু হয়তো শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন না।
বরুসিয়ার ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়ের তালিকাটা রিয়ালের চেয়ে একটু বড়। তাদের র্যামি বেনসিবাইনি, জুলিয়েন ডুরানভিলে ও মাতিউ মুরি আছেন ইনজুরির তালিকায়। সুখবর হলো স্ট্রাইকার সেবাস্তিয়ান হলার ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন।
পার্থক্য যেমন কিংবা যতোই হোক, ফাইনালে লড়াই হবে শেয়ানে শেয়ানে। সেই লড়াই দেখার অপেক্ষায় বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী। অপেক্ষায় বরুসিয়া কিংবা রিয়ালের বিজয়োল্লাস দেখার।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ:
কোবেল, রায়ারসন, হামেলস, শ্লোটারবেক, ম্যাটসেন, সাবিতজার, ক্যান, সানচো, ব্র্যান্ডট, আদেয়েমি ও ফুলক্রুগ।
রিয়াল মাদ্রিদের সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ:
কোর্তোয়া, কারবাহাল, রুদিগার, নাচো, মেন্ডি, ভালভার্দে, কামাভিঙ্গা, ক্রুস, বেলিংহাম, রদ্রিগো ও ভিনিসিউস জুনিয়র।
ঢাকা/আমিনুল