ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

সংখ্যায় সংখ্যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আরিফুল হক বিজয় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ১ জুন ২০২৪   আপডেট: ০৯:৪৩, ২ জুন ২০২৪
সংখ্যায় সংখ্যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

রাত পোহালেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজকের দায়িত্ব পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে তারা এককভাবে আয়োজন করেছিল ২০১০ সালের আসর। যে আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপ মানেই রেকর্ড আর পরিসংখ্যানের খাতা এলোমেলো। ভাঙা-গড়ার এই খেলায় এবার দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল থেকে একক সংস্করণে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ছয়টি বিশ্বকাপের হ্যাটট্রিক থেকে শুরু করে নানা রেকর্ড। আগের আট আসর থেকে উল্লেখযোগ্য ৮টি পরিসংখ্যান সংখ্যায় জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিরোপার সংখ্যা হলো দুই।  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড দুইবার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে।  ২০১৬ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ফাইনালে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের মহাকাব্যিক সেই ইনিংসে ভরে করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের নতো শিরোপা জিতে ক্যারিবীয়রা। 

ইংল্যান্ড ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতে। এরপর এক যুগ বাদে ২০২২ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে ক্রিকেটের জনকরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত স্বাগতিক দলের বিশ্বকাপ জয়ের সংখ্যা শূন্য। 

১১৪১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ১১৪১।  এই রানের মালিক ভারতীয় ব্যাটিং বিস্ময় বিরাট কোহলি। ৮১.৫ গড়ে এবং ১৩১.৩ স্ট্রাইক রেটসহ পাঁচ আসরের ২৫ ইনিংসে ১১৪১ রান করেছেন বিরাট। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ১৪টি হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন কোহলি, যা আর কেউ পারেনি।

২০১৪ সালের আসরে ৩১৯ রান করেছিলেন বিরাট। হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। ২০১৬ সালের আসরেও তিনটি অর্ধশতকের সাহায্যে করেছিলেন ২৭৩ রান। ২০২২ সালের আসরে ৬ ম্যাচে কোহলি করেছিলেন ২৯৬ রান। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ বার সেমিফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। আট আসরের ছয়টিতেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। এর মধ্যে ২০০৯ সালে সেমিফাইনাল পেরিয়ে ফাইনালেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান।  এছাড়া ২০০৭ ও ২০২২ সালে খেলেছিল ফাইনাল। ২০১০, ২০১২ এবং ২০২১ সালের সেমিফাইনালও খেলেছিল এশিয়ার দলটি।

৩১ এবং ১.৮

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো দলের সর্বাধিক জয়ের সংখ্যা ৩১।  আর সেরা দলের জয়-পরাজয়ের অনুপাত ১.৮।  সর্বোচ্চ জয় পাওয়া দল হলো শ্রীলঙ্কা। তাদের পরেই রয়েছে পাকিস্তান (২৮) এবং ভারত (২৭)। শ্রীলঙ্কা ২০১৪ সালে শিরোপা জিতেছিল এবং ২০০৯ ও ২০১২ সালের আসরে ফাইনাল খেলেছিল। ২০১০ সালেও সেমিফাইনাল খেলে তারা।

আর জয়-পরাজয়ের অনুপাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। তারা ২৭টি ম্যাচ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১৫টি ম্যাচে।

১১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের আট আসরে মোট শতকের সংখ্যা ৮। এর মধ্যে ২০০৭, ২০১২ ও ২০২১ সালে একটি করে এবং ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২২ সালে দুটি করে সেঞ্চুরি হয়েছিল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ক্রিস গেইলই একমাত্র ব্যাটার যিনি দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। প্রসঙ্গত, টুর্নামেন্টের দ্রুততম সেঞ্চুরিও এই দুটি! আবার সুরেশ রায়নাই একমাত্র ভারতীয় ব্যাটার যিনি এই আসরে সেঞ্চুরি করেছেন (১০১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা)।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের সংখ্যা ৬টি। ব্রেট লি প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৭ সালে কেপটাউনে এই যাত্রা শুরু করেছিলেন।  এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাঁচটি সংস্করণে কোনও হ্যাটট্রিক হয়নি। ২০২১ ও ২০২২ সালে মোট পাঁচটি হ্যাটট্রিকের সাক্ষী হয়েছে বিশ ওভারের এই আসর।

কার্টিস ক্যাম্পার (আয়ারল্যান্ড), ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) এবং কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা) ২০২১ সালে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান। কার্তিক মায়াপ্পন (আরব আমিরাত) এবং জোশুয়া লিটল (আয়ারল্যান্ড) ২০২২ সালে এই কীর্তিতে ভাগ বসান। 

ঢাকা/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়