শঙ্কা উড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুভসূচনা
ষোলোতম ওভারের শেষ বল। রাদারফোর্ডকে ফিরিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে পাপুয়া নিউগিনি শিবির। তখন ২৪ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৪০ রান। পঞ্চম উইকেট হিসেবে রাদারফোর্ডের আউটে প্রতিপক্ষ শিবির উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথাই। কিন্তু না, এখানেই শেষ।
বাকি গল্পের দৃশ্যায়ন করেন রস্টন চেজ-আন্দ্রে রাসেল। ৪ ওভারের রান ৩ ওভারেই নিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা এনে দেন দেশকে। আগের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে নাক কাটা গিয়েছিল। এবারও যখন জয়ের কাছে, তখন উইকেট হারিয়ে যেন সেই পথেই হাঁটছিল। এবার ভাগ্য বিধাতা সঙ্গী ছিল স্বাগতিকদের।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে রোববার (২ জুন) রাতে টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করে দলটি। লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে ৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান ক্যারিবিয়ানরা।
রস্টন ২৭ বলে ৪২ ও রাসেল ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের জুটি থেকে মাত্র ১৮ বলে আসে ৪৩ রান। পাপুয়া নিউগিনির হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন অধিনায়ক আসাদ ভালা।
রান তাড়ায় শুরুতে জনসন চার্লসের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরেই হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির বাগড়া বেশিক্ষণ থাকেনি। বৃষ্টি থামার পর শুরু হয় নিকোলাস পুরান-ব্রেন্ডন কিং ঝড়। দুজনে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৫২ রান। অবশ্য পাওয়ার প্লের রানের গতি কিছুটা কমে যায়।
২৭ বলে ২৭ রান করা পুরানের আউটে ভাঙে ৫৩ রানের জুটি। ৮ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৪ রান। দুজনের আউটের পর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল (১৫) ও রাদারফোর্ডের (২) বিদায়ে শংকা ঘিরে ধরে। তবে হতে দেননি রস্টন চেজ আর অভিজ্ঞ আন্দ্রে রাসেল। দুজনে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঘরের মাঠে দারুণ শুরু এনে দেন দলকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় পাপুয়া নিউগিনি। দ্বিতীয় ওভারে হারায় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার টনি উরাকে। পরের ওভারে ক্রিজে এসে ফেরেন লেগা সাইকা। পাওয়ার প্লেতে অধিনায়ক আসাদ ভালার সঙ্গী হন সিসি বাউ। দুজন ধীরগতিতে প্রতিরোধ গড়েন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ঝড়ের আভাস দিয়ে ফেরেন ভালা। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
অন্য প্রান্তে বাউ উইকেট আকড়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। ৪২ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরের বলে ফেরেন সাজঘরের। মাঝে সাজঘরে ফেরেন হিরিহির (২) ও চার্লস আমিনি (১২)। আমিনির ইনিংস লম্বা না হলেও দেশটির তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখান।
আমিনিকে ফিরিয়ে আন্দ্রে রাসেল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের ফিফটির কীর্তি গড়েন। শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংস খেলে লড়াকু স্কোর গড়তে সহায়তা করেন কিপিলিন ডোরিগা। ১৮ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৯ বলে ১০ রান করেন চাদ সোপার। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন আলঝারি জোসেপ-আন্দ্রে রাসেল।
ঢাকা/রিয়াদ/ইয়াসিন