ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

বিশ্বকাপের পর নাসাউ স্টেডিয়ামের ভাগ্যে কি থাকছে?

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩১, ১২ জুন ২০২৪   আপডেট: ২২:৩৩, ১২ জুন ২০২৪
বিশ্বকাপের পর নাসাউ স্টেডিয়ামের ভাগ্যে কি থাকছে?

বিশ্বকাপের আমেজ অনেকটাই ‘নষ্ট’ করেছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ধীরগতির উইকেট, অসমান বাউন্স এবং মন্থর আউটফিল্ডের কারণে নিউ ইয়র্কের এই স্টেডিয়াম নিয়ে হয়েছে কড়া সমালোচনা।

অথচ বিশ্বকাপের জন্যই মাত্র পাঁচ মাসে বানানো হয়েছে এই স্টেডিয়াম। মার্কিন মুলুকে ক্রিকেটের বিশ্ব আসর বসেছে এবারই প্রথম। ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার যে ভাবনা তা দারুণ। আইসিসির সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানিয়েছে অনেকেই। কিন্তু নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে যে ম্যাচগুলো হয়েছে প্রতিটি লো স্কোরিং।

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং লাভজনক ম্যাচ। অথচ এই ম্যাচে রান হয়েছে ১১৯। শ্রীলঙ্কার ৭৭ রান দিয়ে শুরু। এরপর আয়ারল্যান্ড ৯৬, কানাডা ১৩৭, নেদারল্যান্ডস ১০৩, কানাডা ১০৩, দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি। আজ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ম্যাচ দিয়ে এই স্টেডিয়ামের অষ্টম ম্যাচ হচ্ছে। যা এই মাঠে বিশ্বকাপের সবশেষ ম্যাচ।

প্রশ্ন উঠা শুরু করেছে, বিশ্বকাপের জন্য গড়ে তোলা এই স্টেডিয়ামের ভবিষ্যৎ কী?

শোনা যাচ্ছে এবং গণমাধ্যমের খবর, স্টেডিয়ামের অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে ফেলবে আয়োজকরা। টাইমস স্কয়ার থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ইস্টার্ন নিউ ইয়র্ক সিটিতে আসলে এটি ছিল একটি পার্ক। ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে যে পার্কটিতেই স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৪ হাজার। মাঠে বসানো হয়েছে ড্রপ-ইন পিচ। দশটি উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। সেগুলো সমুদ্র পাড়ি নিয়ে আসা হয়। মূল মাঠে দেওয়া হয়েছে চারটি উইকেট। ছয়টি স্টেডিয়ামের কাছেই অনুশীলনের উইকেটে।

আউটফিল্ডে পাঁচ শতাংশ সিন্থেটিক ফাইবার মেশানো হয়েছে। বিশ্বকাপের অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে এবং পুনরায় তৈরি করা হবে। তবে স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাব ও ভক্তরা যেন মাঠে আসতে পারে আয়োজকরা তা নিশ্চিত করবে। বলা হচ্ছে, এই মাঠকে বিশ্বমানের তৈরি করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা তাদের এবং আইসিসির যে উদ্যোগ তাতে যুক্তরাষ্ট্র সামনে আরও বড় চমক দেখাবে বলে বিশ্বাস। সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের উঠিয়ে আনতে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে তারা।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট নির্ভর করে কমিউনিটি ক্রিকেটারের ওপর। কমিউনিটি ক্রিকেট সামনে কতটা আগাবে সেটাই দেখার। এই বিশ্বকাপ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বড় মঞ্চে নিজেদের আগমণী বার্তা ভালোভাবেই দিয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানকে হারানো এবং বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মাধ্যমে শক্তি ও সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে। এবার তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়ার পালা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি)। যেখানে সাকিব, স্মিথ, কামিন্সের মতো তারকারা যোগ দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে এই লিগও বড় ভূমিকা রাখবে বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। সঙ্গে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তাদের জন্য বড় পাওয়া হতে যাচ্ছে।

ইয়াসিন/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়