সাকিব-রিশাদে ২৫ রানে বাংলাদেশের জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ: ১৫৯/৫ (২০ ওভার)
নেদারল্যান্ডস: ১৩৪/৮ (২০)
ফল: বাংলাদেশ ২৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান
ডাচদের বিপক্ষে ২৫ রানে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ বলে তাসকিনের উইকেট। দুই জুটিতে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ডাচরা। সিব্র্যান্ড-বিক্রম (২৩ বলে ৩৭০, সিব্র্যান্ড-এঙ্গেলব্রেখটের (৩১ বলে ৪২) জুটিতে অসহায় লাগছিল বাংলাদেশকে। রিশাদের ঘূর্ণিতে জুটি ভাংতেই ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজ। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সিব্র্যাড। ২৬ রান করেন বিক্রম। ২৫ রান করেন অ্যাডওয়ার্ডস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ২ উইকেট নেন তাসকিন। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নেন ১ উইকেটে। তানজীম ২৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করে ম্যাচসেরা হন সাকিব।
রিশাদের ঘূর্ণিজাদুতে জয় দেখছে বাংলাদেশ
রিশাদের ঝুলিতে আরও একটি উইকেট। এবার নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরলেন। বিককে ফেরান মাত্র ২ রানে। আগের দুই ওভারে ১৯ রান দেওয়া এই লেগি পরের দুই ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তাতে ম্যাচের নাটাই চলে আসে বাংলাদেশের হাতে।
ডেথ ওভারে ১ রানে মোস্তাফিজের ১ উইকেট
দুর্দান্ত মোস্তাফিজের দেখা মিলল ডেথ ওভারে। ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। রানটি আসে ওয়াইড বলে। এ ছাড়া আর কোনো রান নিতে পারেনি তার বলে। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি।
রিশাদের জোড়া উইকেট
৩১ বলে ৪২ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ। বাংলাদেশের হুমকি হয়ে দাঁড়ানো সিব্র্যান্ডকে ফেরান তিনি। ২২ বলে ৩৩ রান করেন এই ব্যাটার। শুধু তাই নয় এক বল ডট দিয়ে ফেরান বাদ ডী লিডকে। অবশ্য এতে লিটনের অবদান বেসি। দারুণ স্ট্যাম্পিংয়ে লিডকে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আগের ২ ওভারে ১৯ রান দেওয়া রিশাদ এবার ৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
বোলিংয়ে এসেই স্বস্তি এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ
মাত্র ২৩ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে চোখ রাঙাচ্ছিলেন বিক্রম-এঙ্গেলব্রেখট। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কাউকে ছাড় দেননি। ১০ম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত। তাতেই বাজিমাত। ফেরান ১৬ বলে ২৬ রান করা বিক্রমকে। ক্রিজে এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গী অ্যাডওয়ার্ডস।
তাসকিন-তানজীমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে নেদারল্যান্ডস ৩৭ রান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে। তাসকিনের পর তানজীম সাকিবের আঘাতে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ডাচ শিবির। তানজীমের কাটারে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন ম্যাক্স, কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড়। সোজা আসে তানজীমের হাতেই। দ্রুতগতিতে এলেও তানজীম বল ছাড়েননি। ১৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন ম্যাক্স। ক্রিজে এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গী বিক্রমজীত।
তাসকিনের তোপে প্রথম উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ
প্রথম উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম ওভার পর্যন্ত! শর্ট বলে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন লেবিট। কিন্ত টাইমিংয়ে গড়বড় করে বল তুলে দেন আকাশে। পয়েন্টে ক্যাচ ধরেন হৃদয়। ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারালো নেদারল্যান্ডস ।
দুর্দান্ত সাকিবে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বাংলাদেশ
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে। সাকিব সর্বোচ্চ ৬৪ ও জাকের আলী অনিক ১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুজনে মাত্র ১৫ বলে ২৯ রান করেন। ৯টি চারের মারে সাকিবের ইনিংসটি সাজানো ছিল। এ ছাড়া তানজীদ ৩৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন আরিয়ান-মিকিরিন।
ফিফটিতে সাকিবের কামব্যাকের পরই মাহমুদউল্লাহর বিদায়
ব্যাটে-বলে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ। চারদিক থেকে ছুটতে থাকে সমালোচানার তীর। সাকিব সময় বেশি নেননি। ফিফটিতে ব্যাট হাতে কামব্যাক করলেন। ৩৮ বলে দেখা পান ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটির। টি-টোয়েন্টিতে ৩২তম ফিফটি এটি। সাকিবের ফিফটির পর বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। মিকিরিনকে মারতে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৫ রান।
১৫ বলে ৯ রান করে বোল্ড হৃদয়, বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
প্রিঙ্গেলকে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু বল স্কিড করে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও এবার পারলেন না হৃদয়। ১৫ বলে ৯ রান করেন তিনি। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ ১৪ ওভারে শতরান পার করে।
তানজীদের বিদায়
মিকিরিনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে আউট হন তানজীদ। শুরুতে ২ উইকেট পড়লেও দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ২৬ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। সাকিবের সঙ্গে গড়া জুটি থেকে আসে ৩২ বলে ৪৮ রান। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী হৃদয়।
এক ওভারে সাকিবের ১৯, পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৫৪
বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে নিস্প্রভ থাকার পর আজ তাকে দেখা যাচ্ছি উদ্দীপ্ত। ভ্যান বিককে ১ ওভারে চারটি চার মারেন সাকিব। নেন ১৯ রান। অন্যপ্রান্তে থাকা তানজীদও খেলছেন দারুণ। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান করে। তানজীদ ২৪ বলে ৩৫ ও সাকিব ১৯ বলে ২৮ রানে ব্যাট করছেন।
শান্তর পর ১ রানে লিটনের বিদায়
কিংমার করা আগের ওভারে তানজীদ নেন ১৮ রান। পরের ওভারে এসে অহেতুক মারতে গিয়ে ফেরেন লিটন। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন এঙ্গেলবেটের হাতে। দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন তিনি। মাত্র ১ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। পরপর শান্ত-লিটনের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী সাকিব।
অহেতুক রিভার্স সুইপ!
প্রথম ওভারে ৩ রান দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ওভারেই ছন্দপতন। স্পিনার আরিয়ানকে দ্বিতীয় ওভারে এনেই বাজিমাত করে ডাচ শিবির। দ্বিতীয় বলে অহেতুক রিভার্স সুইপ করে বসেন শান্ত। ফল ফেলেন হাতেনাতে। স্লিপে ধরা পড়েন মাত্র ১ রানে। ৩ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী লিটন।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। একাদশে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ডাচরা নেমেছে এক পরিবর্তন নিয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, জাকের আলী, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নেদারল্যান্ডস একাদশ
মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও'ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, স্কট এডওয়ার্ডস (ক্যাপ্টেন), বাস ডি লিড, লোগান ভ্যান বিক, টিম প্রিঙ্গল, আরিয়ান দত্ত, পল ভ্যান মেকারেন, ভিভিয়ান কিংমা।
পেছালো খেলা শুরুর সময়
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হচ্ছে না। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে পিচ ঢেকে রাখা হয়েছে কাভারে। আধঘণ্টা দেরিতে বাংলাদেশ সময় ৮টা ৩০ মিনিটে হবে টস, খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট দেরিতে, ৮টা ৪৫ মিনিটে।
মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস
ডি গ্রুপ থেকে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে অবস্থিত আর্নোস ভ্যালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় খেলাটি শুরু হবে।
আবারও নেদারল্যান্ডস
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরেও বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল। ব্রিসবেনে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের মিশন শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে চারবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ জিতেছে তিনবার। নেদারল্যান্ডস একবার।
পয়েন্ট টেবিলের লড়াই
ডি গ্রুপে তিন ম্যাচে টানা জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ম্যাচে একটি করে জিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পজিশনে আছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। দুই ও তিন ম্যাচে ১ পয়েন্ট করে নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম পজিশনে আছে নেপাল ও শ্রীলংকা। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে খেলার কথা ছিল নেপাল-শ্রীলংকার। বৃষ্টির কারণে খেলাটি পরিত্যক্ত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শ্রীলংকার। তিন ম্যাচে তাদের সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে তাকিয়ে শ্রীলঙ্কাও। এই ম্যাচে ফল না হলে, ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে লাভ শ্রীলঙ্কার। আর দুই দলের কেউ জিতে গেলে শ্রীলঙ্কার বিদায়ঘণ্টা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
১১ বছর পর!
এই ম্যাচ দিয়ে লম্বা সময় পর সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডের অচলায়তন ভাঙছে। এই মাঠে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিলো ঠিক ১০ বছর আগে। ২০১৪ সালে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিলো বাংলাদেশই। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় নির্বাসিত কিংসটাউনের এই মাঠে। মাঠে হয়নি সিপিএলের কোনো ম্যাচও। এখানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচই হয়েছে স্রেফ দুটি, তাও সেই ২০১৩ সালে। সেই দুই ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান।
ঢাকা/রিয়াদ