নেপালের ইতিহাস নাকি বাংলাদেশের প্রত্যাশিত জয়ের অপেক্ষা
সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেপাল ১ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ফেললে ‘ডি’ গ্রুপের সুপার এইটের লড়াইটা সত্যি-ই জমে যেত। তাহলে বাংলাদেশ, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস এই তিন দলেরই সুযোগ থাকত সুপার এইটে যাওয়ার। শেষ ম্যাচ না হওয়া পর্যন্ত বোঝাই যেত না দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হয়ে কে যাবে সুপার এইটে।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলকে হারানোর দ্বারপ্রান্তে গিয়েও নেপাল পারেনি ইতিহাস গড়তে। সেজন্য লড়াই থেকে তারা ছিটকে গেছে। সেই লড়াইয়ে এখন আছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।
ভিন্ন দুই ম্যাচে এই দুই দল সোমবার (১৭ জুন, ২০২৪) মাঠে নামার অপেক্ষায়। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। নেদারল্যান্ডসের শ্রীলঙ্কা। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে বাদ পড়েছে। তাদের লড়াইটা কেবল নিজেদের মান বাঁচানোর। আর বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের লড়াই সুপার এইটে যাওয়ার। সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ ও নেপালের ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায়। শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের এক ঘণ্টা পর। কোন দল সুপার এইটে যাবে তা নির্ধারণ হয়ে যাবে আগামীকাল সকালে।
বাংলাদেশ যদি নেপালকে হারিয়ে প্রত্যাশিত জয় পায় তাহলে নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার ম্যাচ অনেকটাই মূল্যহীন হয়ে যাবে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ চলে যাবে সেরা আটে। আর যদি নেপাল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পূর্ণ সদস্য কোনো দলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে এবং নেদারল্যান্ডস শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চমক লাগিয়ে দেয় তাহলে রান রেটের ম্যাড়প্যাচের হিসেব আসবে।
বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে যে দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে, সেটা ধরে রাখতে পারলে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা প্রত্যাশিত জয় পাবে বলে বিশ্বাস করেন সমর্থকরা।
তবে অতীতে সহযোগী দেশগুলোর কাছে বিশ্বমঞ্চে হারের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ড, ২০১৪ সালে হংকং এবং ২০২১ সালে স্কটল্যান্ড বাংলাদেশকে হারিয়েছে। প্রতিটি হারের সাক্ষী হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার এশিয়ার কোনো দল বাংলাদেশকে হারাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
হিমালয় কন্যার দেশটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর হচ্ছে, সাকিবের ফর্মে ফেরা। ব্যাটিংয়ে সাকিব শেষ ম্যাচে ১৯ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন। বোলিংয়ে এখনও উইকেট পাননি। কিন্তু তার বোলিং কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে যে কোনো সময়ই। সাকিবের আরেকটি ম্যাজিকাল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ চলে যেতে পারে সুপার এইটে।
এরপর নতুন আরেক মিশনে বাংলাদেশ। যেখানে অপেক্ষায় ভারত, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষ। নেপাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে যে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল সেভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলতে চাইবে। ব্যাট-বলে তাদেরও সামর্থ্য আছে বাংলাদেশকে হারানোর। এশিয়ার দুই দেশের লড়াই উত্তাপ ছড়াবে, উন্মাদনা তৈরি করবে এমনটা প্রত্যাশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমিরাও।
ইয়াসিন/আমিনুল