বিশ্বকাপের সুপার এইটে কী অপেক্ষা করছে
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গ্রুপ পর্ব। ২০ দলের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব শেষে এবার সুপার এইটের লড়াইয়ের অপেক্ষা। ৫৪ ম্যাচের মধ্যে বাকি মাত্র ১৪টি। বোলারদের রাজত্বের বিশ্বকাপে সুপার এইটেও কি একই রূপ থাকবে?
আজ বুধবার (১৯ জুন, ২০২৪) রাত সাড়ে ৮টায় যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নক আউট পর্ব। চলবে ৬দিন ২৫ জুন পর্যন্ত। শেষ হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে। এরপর সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল।
বোলারদের রাজত্ব যে চলেছে সেটি ম্যাচগুলোর স্কোরবোর্ডে দৈন্যদশা দেখলে স্পষ্ট। একটি পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে, অবাক না হয়ে উপায় থাকবে না।
শুধু গ্রুপ পর্বেই চারটি কিংবা তার বেশি উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৫ বার! এর আগে পুরো বিশ্বকাপজুড়ে ১৪ বারের কীর্তি রয়েছে। ২০২১ বিশ্বকাপে ১৪ বার এমন দেখা গিয়েছিল।
বোলারদের এমন রাজত্বে ব্যাটারদের কী বিশ্রী চিত্র হতে পারে তা হয়তো এতক্ষণে বোঝা হয়ে গেছে। ৪০ ম্যাচে ৮৫ বার ব্যাটারদের শূন্যরানে আউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতি দুটি কিংবা তার বেশি ডাক। এখনো বাকি ১৪ ম্যাচ। এই ম্যাচগুলো শেষ হলে ডাকের সেঞ্চুরিও হতে পারে। চার ওভারে চারটি মেডেনের ঘটনাও দেখেছে বিশ্ব।
এবারের গ্রুপ পর্বে দেখা গেছে অঘটনের মিছিল। প্রথম বিশ্বকাপেই সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র খেলছে সুপার এইট। গতবারের রানার্সআপ পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার শেষ পর্যন্ত বাবর আজমদের বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে দিয়েছে। ছিটকে যাওয়ার মিছিলে আছে নিউ জিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো বড় নামও। খোঁড়াতে খোঁড়াতে পরের ধাপে নাম লিখিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
উইকেট নিয়ে আছে প্রবল সমালোচনা। অচল বলে সমালোচকরা ইতিমধ্যে রব তুলেছেন। বোলারদের স্বর্গে উইকেট যেন ব্যাটারদের জন্য বধ্যভূমি। সবচেয়ে বেশি তীরবিদ্ধ হয়েছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ড্রপ ইন পিচের এই স্টেডিয়ামে আর খেলা নেই, এটাই আপাতত স্বস্তির।
তবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে ব্যাটারদের ভোগাতে প্রস্তুত আছেন ঘূর্ণি জাদুকররা। উইন্ডিজের কন্ডিশন বরাবরের মতোই স্পিন সহায়ক। পেসাররাও অবশ্য ছেড়ে কথা বলবে না। প্রথম ইনিংসে স্পিনের রাজত্ব আবার দ্বিতীয় ইনিংসে পেসারদের তোপ; দুই ইনিংসে দুই আচরণের অদ্ভুত উইকেটও দেখা গেছে।
আইপিএলে ব্যাটারদের ধুমধাড়াক্কা মারকাটারি ইনিংস দেখে বিশ্বকাপে কেমন হবে সেই আলোচনা জমছিল বেশ। কিন্তু বিশ্বকাপের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে থেমে গেছে সেই আলোচনার রেশ। লো স্কোরিং থ্রিলার দেখা যাবে নাকি ব্যাটাররাও কিছু করে দেখাবেন তা বলে দেবে সময়।
আপাতত অপেক্ষার প্রহর গুণি। হ্যাঁ, আরেকটি কথা; টি-টোয়েন্টিতে ছোট দল বলে যে কিছু নেই তা গ্রুপ পর্বে দেখা গেছে বেশ। সুপার এইটেও যে এমন কিছু হবে না এমন ভাবনা কল্পনাপ্রসূতও হবে না।
রিয়াদ/আমিনুল