ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

দ. আফ্রিকাকে চোখ রাঙানি দিয়ে ম্যাচ হারল যুক্তরাষ্ট্র

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ১৯ জুন ২০২৪   আপডেট: ০০:৫৯, ২০ জুন ২০২৪
দ. আফ্রিকাকে চোখ রাঙানি দিয়ে ম্যাচ হারল যুক্তরাষ্ট্র

লক্ষ্যটা ছিল বড়। অনেকটা আকাশ ছোঁয়ার মতোই। তবুও যুক্তরাষ্ট্র হাল ছাড়ল না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে চোখ রাঙানি দিল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। একটু এদিক-সেদিক হলেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই যেত ম্যাচের ফল। ভাগ্যদেবী চায়নি বলেই হয়তো হয়নি। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বুধবার ১৮ রানে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে বিশ্বকাপের সহ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে।

বড় মঞ্চে পথ ভোলা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নতুন নয়। তবে এবারের দলটা কঠিন মুহূর্তে স্নায়ু স্থির রাখছে। শেষ মুহূর্তে নড়বড়ে হচ্ছে না তাদের মনোবল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই চমকে দিয়েছে। সুপার এইটে উঠে প্রত্যাশা পূরণ করেছে ঠিকঠাক মতোই। আজকের পারফরম্যান্সও ছিল আপ টু মার্ক। শেষ দিকে কেবল দুয়েকটি ওভারে ঝড় তুললেই ম্যাচটা তাদের পক্ষে যেত। 

আরো পড়ুন:

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার অ্যান্দ্রিস গিউস ৮০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। ৪৭ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কা সাজান ইনিংসটি। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে জয়ের প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি।

এছাড়া আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ১৪ বলে ২৪ করেন । মিডল অর্ডারে রান তুলতে ভুগেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিতিশ কুমার ৮, অধিনায়ক অ্যারোন জোন্স ০ ও কোরি অ্যান্ডারসন ১২ রানে আউট হন।

শেষ দিকে তাদের ম্যাচে ফেরান হারমিত সিং। ২২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে দ্রুত ৩৮ রান তোলেন। কিন্তু রাবাদা তাকে ফেরালে ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে চলে আসে। দ্রুতগতির এই বোলার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালো ছিল না। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়ে আসা ওপেনার রেজা হেনড্রিকস আজও ১১ রানে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। সেখান থেকে ১১০ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক ও আইডেন মার্করাম। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া কক তুমুল আগ্রাসী হয়ে ব্যাটিং করলেও প্রোটিয়া অধিনায়ক স্থির মনোভাবে এগিয়েছেন। 

তবে ১২৬ থেকে ১৪১ রানে যেতে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। কক ৪০ বলে ৭৪ রান করে সীমানায় ক্যাচ দেন। ৭ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা উড়ান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মিলার উইকেটে এসেই গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ পান। মার্করাম ৪ রানের জন্য মিস করেন ফিফটি। 

তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ১৪১। সেখান থেকে হেনরিক ক্লাসেন ও ট্রিসটান স্টাবস ৩০ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন করে তোলেন। ক্লাসেন ২২ বলে ৩৬ রান করেন ৩ ছক্কায়। স্টাবসের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ২০ রান। তাতে লক্ষ্যটা দুইশ ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়। 

যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটা সহজেই হারতে চায়নি বোঝা গেছে তাদের শরীরী ভাষায়। বোলিংয়ে তেমন বাজে বল তারা করেনি। ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। এরপর ব্যাটিংয়েও তীব্র লড়াই। বড় দলের বিপক্ষে না খেলার অনভ্যস্ততাই ফুটে উঠেছে প্রবলভাবে। বিশ্বকাপের পর নিয়মিত বড় দলের বিপক্ষে খেললে আরো অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে গিউস, জোন্সরা। 
  


 


 

ঢাকা/ইয়াসিন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়