ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

সুপার এইট বাংলাদেশের জন্য ‘বোনাস’

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২০ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৪:৩৪, ২০ জুন ২০২৪
সুপার এইট বাংলাদেশের জন্য ‘বোনাস’

লক্ষ্য ছিল সুপার এইটে উঠা। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে উঠতে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন সাকসেসফুল! আর সুপার এইটে বাংলাদেশ যা পাবে তা-ই বোনাস! এমন কথাই বললেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও বাংলাদেশ জয়ের খুব কাছাকাছি ছিল। ৫ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে তিন ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করে সুপার এইট। এবারই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জিততে পারল বাংলাদেশ।

সেরা আটের লড়াই শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার থেকে। বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হচ্ছে শুক্রবার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যান্টিগাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মাঠে নামার আগে কোচ সাফ জানিয়ে দিলেন, সুপার এইটে উঠে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করেছে বাংলাদেশ। সামনে যা পাবে সবটাই বোনাস।

আরো পড়ুন:

অ্যান্টিগাতে কোচ বলেছেন,‘আমরা যখন এই টুর্নামেন্টে এসেছি, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল সুপার এইট নিশ্চিত করা। আমরা সেই কাজটা ভালোভাবেই করতে পেরেছি। আরো ভালো করে বললে, বোলাররা আমাদেরকে ম্যাচে রেখেছে। আমরা কন্ডিশন অনুযায়ী খেলেছি। যে কন্ডিশন আমাদের পক্ষে গেছে। সামনে এগোনোর সুযোগ আমাদের রয়েছে। এজন্য এখানে এসে আমরা খুশি। এখানে আমরা যা পাবো সেটা বোনাস। আমরা এখন স্বাধীনভাবে খেলতে পারব। আমরা তিনটি দলকেই আমাদের সেরাটা দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছি।’

ছেলেদের সুপার এইটের ম্যাচগুলো নিজেদের মতো করে খেলার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন কোচ। তাদের সামর্থ্য দেখানোর সেরা মঞ্চ বলেই মনে করছেন তিনি। হাথুরুসিংহে বিশ্বাস করেন, নিজেদের ভূমিকাগুলো ঠিকঠাক বুঝতে পারলেই সেরা ক্রিকেটটা বেরিয়ে আসবে শান্ত, লিটনদের।

‘এই খেলাগুলো…আমরা কেন খেলি? উপভোগের জন্যই তো! আমরা খেলোয়াড়দের থেকে এটা সরিয়ে নিতে চাই না। সেটা যত বড় খেলা হোক বা যাদের বিপক্ষেই হোক। তবে এটার মানে এই নয় যে, তারা যা খুশি তা করার ফ্রি লাইসেন্স পেয়েছে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। সেই কাজটা করার জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। উপভোগ করতে বলা হয়েছে। সেটা ক্লাব ক্রিকেট হোক বা নিজের দেশের জন্য খেলা হোক। সুতরাং, উপভোগের ফ্যাক্টরটি সর্বদা সামনে থাকে, তবে তাদের দলের জন্য তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কেমন হতে পারে সেই ধারনাও দিয়ে রাখলেন হাথুরুসিংহে, ‘যেকোনো দলের বিপক্ষেই আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, শক্তভাবে শুরু করা। সেটা ব্যাটিং হোক বা বোলিং। যেটা দেখা যাচ্ছে, এবার ব্যাটসম্যানদের জন্য শুরু থেকেই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। উইকেট সম্পর্কে মূল্যায়ন করাও কঠিন হচ্ছে। আমাদের ধারনা ছিল সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট ভালো ছিল কিন্তু দেখা গেল সেটাও কঠিন। বেশিরভাগই বোলিং বান্ধব। শুধু পেস কিংবা স্পিন নয়, দুটোতেই। যা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন ছিল। সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা হলো, শক্তভাবে শুরু করা সেটা ব্যাটিং হোক বা বোলিং।’

ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়