হ্যাটট্রিক: অস্ট্রেলিয়ার ‘প্রিয়’ বাংলাদেশ, মাহমুদউল্লাহর ‘বিব্রতকর’ রেকর্ড
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের হ্যাট্রট্রিকের সংখ্যা মাত্র চারটি। প্যাট কামিন্স শুক্রবার এই তালিকায় সবশেষ নাম তোলেন। দুই ওভার মিলিয়ে কামিন্সের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও মাহেদীকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান ডানহাতি পেসার। ২০তম ওভারের শুরুতে কামিন্সের শিকার তাওহীদ।
ব্রেট লি ও নাথান এলিসের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তৃতীয় হ্যাটট্রিক। হ্যাটট্রিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রিয় প্রতিপক্ষ বাংলাদেশই।
ব্রেট লি ২০০৭ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এলিস ২০২১ সালে। আজ কামিন্স বিশ্বকাপ মঞ্চে পেলেন তৃতীয় হ্যাটট্রিকের স্বাদ। বাংলাদেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার এই ফরম্যাটে হ্যাটট্রিক আছে কেবল একটি বেশি। ২০২০ সালে অ্যাস্টন আগার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি সপ্তম হ্যাটট্রিকের ঘটনা। ২০০৭ সালে ব্রেটলির হাত ধরে বিশ্বমঞ্চে হ্যাটট্রিক শুরু হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডের কুর্টিস ক্যাম্পার, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, কাগিসু রাবাদা, ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কার্তিক মায়াপ্পন, আয়ারল্যান্ডের জসুয়া লিটল এবং আজ অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের স্বাদ।
এদিকে হ্যাটট্রিক হওয়ার পথে আউট হয়ে বিব্রতকর এক রেকর্ডে মাহমুদউল্লাহ নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি সপ্তম হ্যাটট্রিক। মাহমুদউল্লাহ যেখানে ছিলেন সর্বোচ্চ তিনবার। শুধু টি-টোয়েন্টিতেই নয়, মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয়বার হ্যাটট্রিক হওয়ার পথে আউট হওয়ার তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকে এতোবেশি আউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ড নেই আর কারো। তিনবার টি-টোয়েন্টিতে, দুটি ওয়ানডে এবং একবার টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক হওয়ার পথে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
ইয়াসিন/আমিনুল