ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিতে ভারত, অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:২১, ২৫ জুন ২০২৪   আপডেট: ০১:১৯, ২৫ জুন ২০২৪
শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিতে ভারত, অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া

ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বল। কুলদীপ যাদবকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্লগ করতে চেয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। হলো না, বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে ভেঙে দেয় উইকেট। অস্ট্রেলিয়াকে ছিটকে দিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। ম্যাক্সওয়েলের আউটের পর ৪১ বলে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৫৩ রান করতে পারে, উইকেট হারায় ৪টি। অথচ এর আগে এক প্রান্তে ট্রাভিস হেড আরেক প্রান্তে ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার জয় যেন ছিল সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত ২৪ রানের জয়ে গ্রুপ ওয়ান থেকে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে ভারত।

সেন্ট লুসিয়ায় সোমবার রাতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রোহিত শর্মার রেকর্ড ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে ভারত। তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করে থামে অস্ট্রেলিয়া। সুপার এইটে তিন জয়ে সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট পেয়ে শেষ চারে নাম লেখায় রোহিতে দল। মাত্র ১ জয় পাওয়া  অস্ট্রেলিয়াকে অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলের দিকে।

মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানকে হারায় তাহলে অস্ট্রেলিয়া সেমিতে যেতে পারবে। আর যদি ৬২ রান কিংবা ১৩ ওভারের মধ্যে ম্যাচ জিততে পারে নাজমুল হোসেন শান্তর দল, তাহলে বাংলাদেশ সেমিতে নাম লেখাবে। আফগানিস্তানের সামনে সেমিতে যাওয়ার সমীকরণ একটাই, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়। তাহলে রশিদ খানদের কোনো হিসেব নিকেশে যেতে হবে না।

আরো পড়ুন:

১২ বলে ২০ রান করে ম্যাক্সওয়েলের আউটের পর ক্রিজে এসে মার্কাস স্টয়নিশও সুবিধা করতে পারেননি। তার ৪ বলে ২ রানের আউটে চাপ বাড়ে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। অন্য প্রান্তে দুর্দান্ত খেলতে থাকা হেডকে থামতে হয় মারতে গিয়ে। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করা এই ওপেনার ব্যাটার আউট হয়েছেন ৪৩ বলে ৭৬ রান করে। এরপর টিম ডেবিডের ১১ বলে ১৫, প্যাট কামিন্সের ৭ বলে ১১ ও মিচেল স্টার্কের ৭ বলে ৪ হারের ব্যবধান কমায় শুধু।

অথচ প্রথম ওভারে ওয়ার্নারের উইকেট হারালেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৬৫ রান তোলে। মার্শ ২৮ বলে ৩৭ রানে আউট হলেও দলটির রান-রেট ছিল হিসেব মতো দশের আশে-পাশেই। কুলদীপ-অক্ষর প্যাটেলরা মাঝ পথে দারুণ বোলিং করে ম্যাচটা ভারতের মুঠোয় এনে দেন। আর জাসপ্রীত বুমরাহ-আর্শদীপ সিং দারুণ ফিনিশিং এনে দেন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬ রানের মাথায়ই বিরাট কোহলির উইকেট হারায় ভারত। জশ হ্যাজলেউডের বলে মিড অনে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ বল খেলে শূন্যরানে ফেরেন কোহলি। এরপর ঝড় তোলেন রোহিত। মাত্র ১৯ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন এবারের বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটি। তার ফিফটিতে ভর করে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে ভারত।

অবশ্য ফিফটি করেও থেমে থাকেননি রোহিত। মারমুখী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলীয় সংগ্রহ। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১.১ ওভারেই ভারতের সংগ্রহ হয়ে যায় ১২৭ রান। রোহিত এ সময় ৪০ বলে ৭টি চার ও ৮ ছক্কায় ৯২ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির। কিন্তু মিচেল স্টার্ক তাকে সেটি করতে দেননি। এই রানে তিনি বোল্ড হয়ে যান। তাতে ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় অধিনায়ককে।

এরপর সূর্যকুমার যাদবের ৩ চার ও ২ ছক্কায় করা ৩১, শিবম দুবের ২৮ ও হার্দিক পান্ডিয়ার অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি ও মার্কাস স্টয়েনিস ৪ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। জশ হ্যাজলেউড ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। 

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়