আফগান কামানের সামনে ‘চোকার্স’ দক্ষিণ আফ্রিকা
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক অসম লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। তাতে আফগানদের লক্ষ্য ইতিহাস গড়া। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘুচিয়ে শিরোপার মঞ্চে পা রাখা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।
এবারই প্রথম আইসিসির কোনো বড় ইভেন্টে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আফগানিস্তান। এদিকে ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাতবার সেমিফাইনালে খেলেও ফাইনালের মঞ্চে ওঠার সুযোগ হয়নি প্রোটিয়াদের। এবার অষ্টমবারের চেষ্টায় মাঠে নামবে এইডেন মার্করামের দল।
এবারের আসরে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় তারা। এরপর সুপার এইটেও অপরাজিত থেকে পা রাখে সেমিফাইনালে। শতভাগ জয়ের এই ধারা সেমিফাইনালে ধরে রাখতে চায় প্রোটিয়ারা।
প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লেখানোর স্বপ্নে বিভোর প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম, ‘সেমিফাইনালে উঠতে পারাটা সৌভাগ্যের এবং তৃপ্তির। সেমিতে দাপটের সাথে জিততে চাই। আগের সাত ম্যাচে অনেক ভুল করেছি। আশা করি নিজেদের সেরাটা দিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নিবো।’
বিশ্ব আসরে বারবার চাপের মুহূর্তে ভেঙে পড়ার কারণে ‘চোকার্স’ বলে একটা বদনাম আছে প্রোটিয়াদের। সেই বদনাম এবার ঘোচাতে চান মার্করাম, ‘অতীতের পরিসংখ্যান নিয়ে আমরা ভাবছি না। সামনে এখন নতুন একটি ম্যাচকে ঘিরেই সব পরিকল্পনা। আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। আমরাও আফগান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।’
এদিকে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে আফগানিস্তান। প্রথম তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে। সুপার এইটে আরো বড় চমক দেখায় তারা। ভারতের কাছে হারলেও অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে হারিয়ে পেয়ে যায় সেমির টিকিট। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও সেরাটা খেলতে চায় আফগানিস্তান।
ফাইনালের টিকিট পেতে মরিয়া অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘আমাদের সামনে ফাইনালে খেলার সেরা সুযোগ এসেছে। ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। পুরো দল উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী। সেমিফাইনালে সেরা ক্রিকেট খেলতে মরিয়া তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী দল, কিন্ত আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়।’
এখন পর্যন্ত টি-২০তে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দল দু’টি। দু’বারই বিশ্বকাপের মঞ্চে। তাতে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। ২০১০ সালের ৫৯ রানে এবং ২০১৬ সালে ৩৭ রানে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঢাকা/বিজয়