ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

আফগানিস্তান-দ. আফ্রিকা ম্যাচে ৮ রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ২৭ জুন ২০২৪  
আফগানিস্তান-দ. আফ্রিকা ম্যাচে ৮ রেকর্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে রূপকথার জন্ম দিয়ে আসা আফগানিস্তানকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন, ২০২৪) সকালে আফগানদের মাত্র ৫৬ রানে অলআউট করে তারা জয় ছিনিয়ে নেয় ৯ উইকেটের ব্যবধানে। পাশাপাশি নিশ্চিত করে ফাইনাল। এই ম্যাচে ৮টি রেকর্ড হয়েছে। চলুন সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

১.
দক্ষিণ আফ্রিকা এই প্রথম কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো। এর আগে ১৯৯৮ সালে তারা নকআউট ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল।

১.
৫৬ রানে আউট হওয়ার ঘটনা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ইতিহাসে প্রথম। আফগানিস্তানের আগে ২০০৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০১ রানে ও ২০১২ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

আরো পড়ুন:

২.
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বোচ্চ ১০ রানের ইনিংস খেলেন। আর সর্বোচ্চ ১৩ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটলো এমন ঘটনা যেখানে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে অতিরিক্ত রান সংখ্যা বেশি। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড মাত্র ৬৯ রানে অলআউট হয়েছিল। সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছিল অতিরিক্ত খাত থেকে।

৮.
এই ম্যাচে জয় পাওয়ার মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা টানা ৮ ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার রেকর্ড গড়লো। তাদের আগে ২০২২ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টানা ৮ ম্যাচে জিতেছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম টানা এতোগুলো ম্যাচ জিতলো। এর আগে তারা ২০০৯ ও ২০২১ সালে এই ফরম্যাটে টানা ৭ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল।

৫৬.
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে তারা ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো দলের এটা সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আফগানদের আগে এবারের বিশ্বকাপেই শ্রীলঙ্কা তাদের বিপক্ষে ৭৭ রানে অলআউট হয়েছিল।

১৭.
এবারের বিশ্বকাপে বল হাতে ফজল হক ফারুকি ১৭ উইকেট নিয়েছেন। যা বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো বোলারের নেওয়া সর্বোচ্চ উইকেট। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। যিনি ২০২১ আসরে বল হাতে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট। ফারুকির ১৭ উইকেটের ১০টিই এসেছে পাওয়া প্লে’তে। যা পাওয়ার প্লে’তে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ফারুকির আগে ২০১০ বিশ্বকাপে দ্রিক নানেস পাওয়ার প্লে’তে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।

৫-০.
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলে একটিতেও হারেনি তারা। পাঁচ জয়ের চারটিই এসেছে বিশ্বকাপে। এর আগে ২০১০ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতেছিল প্রোটিয়ারা। আর ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রশিদ-নবীদের বিপক্ষে আরও দুটি ম্যাচ জিতেছিল প্রোটিয়ারা।

আফগানিস্তান এ পর্যন্ত যে ২২টি দলের বিপক্ষে খেলেছে তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও নেপালকে এখনও হারাতে পারেনি তারা।

ঢাকা/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়