বেলিংহ্যাম-কেইনে দ্য ফ্যালকন্সদের স্বপ্নভঙ্গ
মাত্র ৬০ সেকেন্ড। ১ মিনিট। এটা পার হলেই ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ইতিহাস গড়তে পারতো স্লোভাকিয়া। কিন্তু ভাগ্যদেবী লিখে রেখেছিলেন অন্য গল্প। ইংলিশদের ত্রাতা হয়ে আসেন জুদ বেলিংহ্যাম। বাইসাইকেল কিকে অসাধারণ গোল!
নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা। এরপর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে হ্যারি কেইনের জয়সূচক গোল! ২-১ গোলের জয়ে অঘটন ছাপিয়ে ইউরো ২০২৪-এর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
অথচ প্রথম ৯০ মিনিটে যেন সবকিছুই ছিল ইংলিশদের বিপক্ষে। দ্য ফ্যালকন্স খ্যাত স্লোভাকিয়ার ডিফেন্স ভেদ করা যাচ্ছিল না কোনোভাবে। ২৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে আরও বিপাকে পড়ে সাউথগেটের দল।
২৫ মিনিটে ইভানের নিচু শট খুঁজে পায় ইংল্যান্ডের জাল। প্রথমার্ধ এই ১-০ সমীকরণে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পরও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৯০ মিনিটও শেষ হয়ে যায়। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটের আগে চমকে দেন বেলিংহ্যাম। স্বপ্নভঙ্গ হয় ফ্যালকন্সদের।
ডানদিক থেকে বল থ্রো করেন ওয়াকার। ডি বক্সের পাশে ভিড়ের মধ্যে থাকা মার্ক গেহির মাথা ছুঁয়ে বল আসে একদম মাঝে। সেখানে থাকা বেলিংহ্যাম বাইসাইকেল কিকে বল জড়িয়ে দেন জালে। এটিই ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম অন টার্গেট শট!
যেন প্রাণ ফিরে আসে ইংলিশ শিবিরে। যোগ হয় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। শুরুর ৫০ সেকেন্ডে ডি বক্সের ডানদিক থেকে দারুণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে। অতিরিক্ত সময়ে ইউরোর ইতিহাসে এত দ্রুত আর কোনো দল গোল দিতে পারেনি।
২-১ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ শুরুতে গোল খেয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো ইংল্যান্ড।
পুরো ম্যাচে ১৬টি শট নেয় স্লোভাকিয়া, তার মধ্যে ৩টি ছিল অনটার্গেট। ১৮টি শট নেয় ইংল্যান্ড, তার মধ্যে ২টি অন টার্গেট। দুটো অন টার্গেট শটই গোল হয়েছে। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড, ৬৪ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে।
রিয়াদ/আমিনুল