আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে শান্তর ব্যাখ্যা অগ্রহণযোগ্য: পাপন
আফাগিস্তানের বিপক্ষে ১২.১ ওভারে জিতলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারতো বাংলাদেশ। শুরুটা সম্ভানাময়ী হলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটেনি। উল্টো ম্যাচ হেরে যায় আফগানদের কাছে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, দ্রুত ৩ উইকেট পড়ার পর তারা সেমিফাইনালের ভাবনা থেকে সরে আসেন। তার এমন ব্যাখ্যা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বোর্ড মিটিং শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি। বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উঠে আসে আফগানিস্তান ম্যাচ ও শান্তর মন্তব্য প্রসঙ্গ।
পাপন বলেন, ‘আমি একটা ব্যাপারের উত্তর দিতে পারছি না, সেটা হলো আমাদের অধিনায়ক বলেছে যে, ৩ উইকেট পড়ার পর আমরা চেষ্টা করিনি। এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু আমি যতক্ষণ খেলা দেখেছি ততক্ষণ এমনটা মনে হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয় ছিল ততক্ষণ ওরা চেষ্টা করেছে।’
সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশ যে কোনো ব্যবধানে জিতলে আফগানরা বাদ পড়তো আর সেমিফাইনলে যেতো অস্ট্রেলিয়া। আর ১২.১ ওভারে জিতলে আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া বাদ পড়তো, বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতো।
৮.২ ওভারে ৬৪ রানে তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট হারালে ছন্দপতন ঘটে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়।
পরিকল্পনা নিয়ে শান্ত বলেছিলেন, ‘পরিকল্পনা এ রকম ছিল— প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করবো। যদি ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট না পড়ে, ওই সুযোগটা নেবো। কিন্তু যখন ৩টা উইকেট পড়ে গেলো, আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল, কীভাবে আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। তারপর বলবো, মিডল অর্ডার সেরকম ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ কারণে আমরা হেরে গেছি।’
তার ব্যাখা মানতে নারাজ বিসিবি সভাপতি, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলছি। ওর (শান্তর) এই কথার সঙ্গে আমরা একমত না। এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। ১২ ওভার পর্যন্ত (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) আমাদের লড়াই করা উচিত ছিল। দেখলাম যে যখন রক্ষণাত্মক খেলার দরকার ছিল তখন মেরে খেলেছে। আর যখন মেরে খেলার দরকার ছিল তখন রক্ষণাত্মক খেলেছে।’
টি-টোয়েন্টিতে ১২ ওভার এই রান অসম্ভব নয় বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তবে সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট বিবেচনায় এই রান তোলা কঠিন বলে মনে করেন পাপন, ‘১২ ওভারে ১১৫ রান টি-টোয়েন্টিতে করা কোন ব্যাপারই না। এটা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওই উইকেটে কেউ কি ওই রান করতে পেরেছে। অস্ট্রেলিয়াও তো আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ওই উইকেটে। ওই কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। কিন্তু ওরা (বাংলাদেশ ব্যাটাররা) চেষ্টা করেছে।’
বোর্ড মিটিংয়ে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো দল থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো রিপোর্ট আসেনি। বিসিবি ম্যানেজমেন্ট কোচ-ম্যানেজারের রিপোর্ট ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার অপেক্ষায় আছে।
রিয়াদ/আমিনুল