লড়াইয়ের আগে রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসালেন এমবাপ্পে
ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ শুক্রবার রাতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পর্তুগাল ও ফ্রান্স। দুই দলের দুই মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৩৯ পেরিয়ে যাওয়া রোনালদো ক্যারিয়ারের শেষ ইউরো খেলছেন। অন্যদিকে এরই মধ্যে বিশ্বকাপের মুকুট জেতা এমবাপ্পে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন।
প্রত্যেকেরই জানা, এমবাপ্পের বর্তমান অবস্থানের পেছনে রোনালদোর অবদান কতটা। সিআরসেভেনকে দেখেই ক্যারিয়ার গুছিয়েছেন এমবাপ্পে। তাকে মেনেছেন আইডল। দুই দলের দ্বৈরথের আগে এমবাপ্পে মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যমের। সেখানে রোনালদোর প্রসঙ্গ উঠতেই তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সদ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ড, ‘প্রত্যেকেই জানে, খেলোয়াড় হিসেবে আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কতটা পছন্দ করি। সময়ে সময়ে আমি খুবই ভাগ্যবান যে তার সঙ্গে খেলতে পেরেছি এবং কথা বলতে পেরেছি। আমাদের নিয়মিত এখনো যোগাযোগ হয়। আমাকে সব সময় সাহায্য করে। আমার জীবনে কি হতে যাচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে জানায় এবং সব সময় আমাকে পরামর্শ দেয়।’
‘এটা আমার জন্য সম্মানের বিশেষ করে আমি যখন চিন্তা করি ফুটবল বিশ্বের জন্য কত কিছু সে করেছে। তার উপস্থিতির আগে এবং পরে এই খেলা কতটা পরিবর্তন হয়েছে তা বোঝা যায়। সে ফুটবলের কিংবদন্তি।’ - যোগ করেন এমবাপ্পে।
২০০৯ থেকে ২০১৮ পযর্ন্ত ইতিহাসের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়েছেন রোনালদো। কিছুদিন আগে এমবাপ্পে সেই ক্লাবেই যোগ দিয়েছেন। রোনালদোর ‘পাসিং অব দ্য বাটন’ হচ্ছেন এমবাপ্পে এমন কথাও বলছে ইউরোপীয়ান গণমাধ্যম। তবে এমবাপ্পে এসব মানতে নারাজ, ‘আমি এভাবে কিছু চিন্তা করি না। তার মতো একজনই আছে। একজনই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আছে এবং আজীবন একজনই থাকবে। আমি আমার নিজের পথে চলি। আমার স্বপ্ন ছিল রিয়াল মাদ্রিদে খেলা যেটা পূরণ হতে যাচ্ছে।’
‘আমি আশা করছি আমার ফুটবল দিয়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারবো। আমি সেখানে গিয়ে রোনালদোর অধ্যায় লিখবো না। আমাকে আমার কাজটা করতে হবে। রিয়াল মাদ্রিদের সাফলতার জন্য নিজের সর্বোচ্চটা উজার করে নতুন অধ্যায় লিখতে হবে।’
২০২২ বিশ্বকাপে এমবাপ্পে ছিলেন টপ স্কোরার। ইউরোতে এখন পযন্ত মাত্র একটি গোল করেছেন। সেটাও পেনাল্টি থেকে। কোয়ার্টারে এমবাপ্পে গোল পেলে ইউরো থেকে পর্তুগালকে বিদায় নিতে হবে বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই মহাতারকার লড়াই উন্মাদনা ছড়াবে। শেষ হাসিটা কে হাসে সেটাই দেখার।
ইয়াসিন/আমিনুল