ঢাকা     রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২১ ১৪৩১

এইচপির অস্ট্রেলিয়া সফর: যে সুযোগ দেখছেন রাজিন সালেহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ৮ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৯:০৯, ৮ জুলাই ২০২৪
এইচপির অস্ট্রেলিয়া সফর: যে সুযোগ দেখছেন রাজিন সালেহ

সপ্তাহখানেক পর অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাইপারফরম্যান্স দল (এইচপি)। এই সফরে দুটি চারদিনের ম্যাচসহ তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে এইচপি। প্রায় ৪০ দিনের এই সফরে দীর্ঘমেয়াদী সুফলের সুযোগ দেখছেন ব্যাটিং কোচ রাজিন সালেহ।

সাবেক ক্রিকেটার রাজিন দীর্ঘদিন ধরে কোচিং পেশায় যুক্ত। দেশীয় ক্রিকেটারদে আদ্যোপান্ত তার জানা। ২ জুলাই বোর্ড মিটিংয়ে রাজিনের সঙ্গে তিন মাস মেয়াদী চুক্তি করে বিসিবি। বোর্ড দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করতে চাইলেও রাজিন সাড়া দেননি।

এইচপি দল নিয়ে রাজশাহীতে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করেছেন রাজিন। ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে দল। এই সফরে পাকিস্তান ‘এ’ দল তথা পাকিস্তান শাহীনস দলের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ আর অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরি দলের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে এইচপি।

আরো পড়ুন:

‘এটা আন্তর্জাতিক সফরের মতোই মনে হচ্ছে। এখানে অনেক ভালো ভালো ক্রিকেটাররা খেলবে। পাকিস্তান দল আসছে। ওই দলে অনেক ভালো ভালো বোলাররা আছ।’

‘এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ভালো ভালো বোলারদের বিপক্ষে তারা খেলবে। আমি মনে করি এটা ইতিবাচক দিক। আমরা যাচ্ছি খেলার উন্নতির জন্য। এমন না যে, আমরা বলছি যে, সিরিজ জিততে যাচ্ছি। কারণ, এখান থেকে ক্রিকেটাররা কীভাবে উন্নতি করবে, এগিয়ে যাবে, ঘুরে দাঁড়াবে, সেই জায়গাটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত’-আরও যোগ করেন রাজিন।

এই সফরে ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা ভালোভাবে বুঝতে পারবে বলে মনে করেন রাজিন, ‘আমি বলব অবশ্যই এটা খুবই প্রয়োজনীয় একটা সফর আমি মনে করি। ক্রিকেটাররা বুঝবে কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হয়। ওই জায়গায় কীভাবে ভালো খেলা যায়। এটা ক্রিকেটারদের জন্য বড় একটা সুযোগ। এই দেড়টা মাস তারা যদি কাজে লাগাতে পারে, আমি মনে করি তাদের জন্য ভালো একটা ভবিষ্যৎ আছে।’

আমি মনে করি এটা চ্যালেঞ্জিং একটা পার্ট। এইচপিতে অনেক কাজ আছে। এখানে কাজ করার মতো সুযোগ আছে। ছেলেদের আমার অভিজ্ঞতাটা ভাগাভাগি করা। এইচপিতে যখন এসেছি, বৃষ্টির কারণে যথেষ্ট সুবিধাদি পাইনি। রাজশাহীতে আমরা সবশেষ তিন সপ্তাহ অনেক অনুশীলন করেছি। বাচ্চারা উপভোগ করেছে। আমার অভিজ্ঞতাটা আমি ভাগাভাগি করতে পেরেছি, তারা নিতে পেরেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয়, তাদের সঙ্গে এটা শেয়ার করা। আর এটা সময়ের ব্যাপার, কিছু ক্রিকেটার তৈরি করা। আমার সময় লাগবে। ইনশাআল্লাহ এখান থেকে আমরা ইতিবাচক কিছু পাব।’

বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের কথা বলছেন রাজিন, ‘আমাদের দেশে যে উইকেট আছে, রাজশাহীতে অবশ্যই ভালো একটা উইকেট ছিল, ট্রু উইকেট ছিল। অস্ট্রেলিয়ার উইকেট একটু ভিন্ন হবে। দেশের উইকেটে বল যেভাবে ওঠে, অস্ট্রেলিয়ায় এর চেয়ে ভালোভাবে উঠবে (বাউন্স)। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করা, কীভাবে খেলবে ভালো করবে, এটা নিয়ে আমি কাজ করছি। দেখা যাক সামনে কতটুকু তারা এগোয়।’

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়