ইংল্যান্ডকে সমীহ করেই শিরোপায় চোখ স্পেনের
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে ফাইনালের মঞ্চে উপনীত হয়েছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত স্পেন। এদিকে শুরুতে ধুঁকলেও পরে দারুণ খেলা উপহার দিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ‘থ্রি লায়ন্স’রা। তাদেরকে হেলাফেলা করার কোনো কারণ দেখছেন না স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। ইংলিশদের সমীহ করেই শিরোপায় চোখ রাখছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিন শিরোপা জয়ী স্পেনের সামনে রেকর্ডটি এককভাবে নিজেদের করে নেওয়ার হাতছানি। বিপরীতে, প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পেতে মুখিয়ে ইংল্যান্ড।
আসরে অপরাজিত জয়ের পথচলায় স্পেন হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে। তবুও শিরোপার মঞ্চে নামার আগে বেশ সাবধানী লুইস দে লা ফুয়েন্তে। ফাইনালে যে এক মুহূর্তেই সব এলোমেলো হয়ে যেতে পারে, সেটা বেশ ভালোই জানেন স্পেন কোচ। তাই গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না।
ফুয়েন্তে বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং নিজেদের মাঠে খেলার কারণে জার্মানি ফেভারিট ছিল। এই ফেভারিটদের (ইংল্যান্ড ছাড়া) টপকানোর সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম এবং পারও করেছি। এখন আমাদের সামনে আরেকটি বড় ম্যাচ।’
‘হতে পারে, ফাইনালে ইংল্যান্ডের চেয়ে আরও ভালো ফুটবলের পসরা মেলে ধরবে স্পেন। কিন্তু লড়াইটা এখন এক ম্যাচের, ফলে আগের কোনোকিছুর প্রভাব থাকবে না। ইংল্যান্ডের মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে। লড়াইটা কঠিন হবে।’- আরও যোগ করেন স্পেন কোচ।
ইংল্যান্ডকে সমীহ করলেও নিজের দলের উপর আস্থা হারাচ্ছেন না তিনি। চোখ রাখছেন শিরোপায়, ‘কিন্তু আমরা এই ফাইনালের জন্য মুখিয়ে আছি। আমরা বেড়ে ওঠার ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। এই খেলোয়াড়েরা জয়ের চেষ্টা এবং ট্রফি জেতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।’
১৯৯৬ সালের ইউরোর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম দেখা হচ্ছে দুই দলের। সেবার ওয়েম্বলির কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এ ছাড়াও সব মিলিয়ে দুই দলের সবশেষ দেখায় ২০১৮ সালে উয়েফা নেশন্স লিগেও জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার স্পেনের সামনে সুদে-আসলে সব ফিরিয়ে দেওয়ার পালা।
ঢাকা/বিজয়