ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৫ ১৪৩১

পাকিস্তানের ‘অরণ্যে রোদন’!

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:৫৫, ১৪ জুলাই ২০২৪
পাকিস্তানের ‘অরণ্যে রোদন’!

২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। আট দলের এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবগুলো ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজনের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে আয়োজকরা। আইসিসিতে দেওয়া খসড়া সূচি অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত হবে এই টুর্নামেন্ট। ১০ মার্চ বাড়তি একদিন রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে হিসেবে।

করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। লাহোরে ৭টি, করাচিতে ৩টি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ৫টি ম্যাচ হবে। উদ্বোধনী ম্যাচ ও একটি সেমিফাইনাল হবে করাচিতে, অন্য সেমিফাইনাল রাওয়ালপিন্ডিতে। আর ভারতের সব ম্যাচসহ ফাইনাল হবে লাহোরে। ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে সেই ম্যাচও হবে লাহোরে।

রাজনৈতিক ইস্যুতে ভারত এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান গিয়ে খেলবে কিনা সেটা এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সব সময়ই বলে আসছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া তারা কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

আরো পড়ুন:

পিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের সব ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। যেখানে ভেন্যু, স্টেডিয়াম ভারতের খুব নিকটে। সঙ্গে ওয়াঘা সীমান্ত কাছাকাছি থাকায় সমর্থকরাও খুব সহজে পাকিস্তানে যেতে পারবে। কিন্তু এরই মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, পাকিস্তানে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই ভারতের। সরকার থেকে তারা অনুমতি পাবে না বিষয়টি আগে থেকেই তাদের জানা। এজন্য বিসিসিআই দুবাই নয়তো শ্রীলঙ্কায় ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনের প্রস্তাব দেবে আইসিসিকে।

কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না পাকিস্তান। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এসেছে, ভারত যদি ২০২৫ সালে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে না আসে তাহলে ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তানও যাবে না ভারতে। এক প্রকার হুমকি দিয়ে রাখছে পাকিস্তান। কিন্তু এসব তাদের পুরোনো রীতি। এক প্রকার ‘অরণ্যের রোদন’। কারণ, অতীতে পাকিস্তান এসব হুমকি, হুঁশিয়ারি দিলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের শক্তির কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে।

২০১১ সালে তারা ওয়ানডে সেমিফাইনাল খেলেছিল পাঞ্জাবে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ খেলে ভারতে এবং সবশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপও ভারতের মাটিতে গিয়ে খেলে এসেছে বাবর, শাহীন আফ্রিদিরা। ফলে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এরকম হুমকি দিলেও, শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই টিকে না। সবশেষ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে আয়োজন করা হয়েছিল। সেবার ভারতের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করা হয়েছিল ভারতের জন্য। এবার এমন কিছু করবে না বলেও জানিয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের সর্বোচ্চটা নিয়ে পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে আতিথেয়তা দিতে চায় তারা।

২০০৮ সালে পাকিস্তানে সবশেষ গিয়েছিল ভারত। খেলেছিল এশিয়া কাপ। এরপর রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্কও আলোর মুখ দেখেনি।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়