জন্মদিনের ‘সেরা উপহার’ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইয়ামাল
দুইদিন আগেই কেটেছেন ১৭তম জন্মদিনের কেক। একদিন বাদে রাতেই নেমে পড়েছেন ইউরোর ফাইনালের মহামঞ্চে। আসরজুড়ে যে ঝলক দেখিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল, ফাইনালেও সেটা ধরে রাখলেন। নিজে খেললেন, গোল করালেন, স্পেনকে পাইয়ে দিলেন তৃতীয় ইউরোর স্বাদ; এ যেন স্বপ্নের মতো ব্যাপার।
আসরের শুরু থেকেই রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় ইয়ামিল ছিলেন অনবদ্য। রেকর্ডের মালা গলায় পরেই দলকে নিতে আসেন ফাইনালের মহারণে। আর ফাইনালে তার বাড়ানো পাস থেকেই প্রথম গোলটা করেন নিকো উইলিয়ামস। তাতেই জুটেছে ক্যারিয়ারের প্রথম কোনো বড় শিরোপা। ম্যাচ শেষে ব্যক্তিগত ও দলীয় প্রাপ্তি মিলিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন ইয়ামাল।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই জুটেছে ইউরোপ সেরার স্বীকৃতি। এমন অর্জন স্বপ্নের মতোই লাগছে ইয়ামালের কাছে। ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার এই বিস্ময় কিশোরের কণ্ঠে সেটাই যেন ফুটে উঠলো, ‘আমি খুবই আনন্দিত। এটা স্বপ্নের মতো। আমি স্পেনে ফিরতে এবং সমর্থকদের সঙ্গে উদ্যাপন করতে মুখিয়ে আছি। এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।’
ম্যাচে শুরুতে স্পেন লিড নেওয়ার পর সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তুওলে ইংল্যান্ড। সেই মুহূর্তটার কথাও ব্যাখ্যা করেছেন ইয়ামাল। তখনকার অনুভূতি জানিয়ে ইয়ামাল বলেন, ‘ইংল্যান্ড সমতায় ফেরার পর কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি না এই দল কী দিয়ে তৈরি। তবে আমরা সব সময় ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য দেখিয়েছি।’
ইউরোর সপ্তদশ আসরে ইয়ামাল গোল করেছেন একটি, করিয়েছেন চারটি। মোট খেলেছেন ৫০৭ মিনিট। করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩২ ড্রিবল। সব মিলিয়ে আসরের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও গেছে এই কিশোরের দখলে। সামনে সময় কেবল আনন্দে রাঙানোর।
ঢাকা/বিজয়