হারের জন্য ম্যাচের আগের বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করলেন কলম্বিয়ার কোচ
আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঠের বাইরে টিকিটবিহীন দর্শকরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। একটা সময় তারা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিগের গেট ভেঙে মাঠে প্রবেশ করে। এরপর তৈরি হয় অরাজক পরিস্থিতি।
হাতাহাতি, মারামারি, গ্রেফতার, চিৎকার-চেচামেচি, মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি— ইত্যাদি ইত্যাদি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বেশ সময় লাগে। তাতে ফাইনাল ম্যাচ পেছাতে থাকে। প্রথমে ৩০ মিনিট, এরপর ১৫ মিনিট, এরপর আরও ৩০ মিনিট পিছিয়ে ৮৩ মিনিট পর শুরু হয় ম্যাচ। যেখানে অতিরিক্ত সময়ের গোলে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় কলম্বিয়া। তারা হাতছাড়া করে ২৩ বছর পর শিরোপা জয়ের সুযোগ।
ম্যাচ শেষে কলম্বিয়ার কোচ নেস্তর লরেঞ্জো তাদের হারের জন্য দায়ী করেছেন ফাইনালের আগে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে।
তিনি বলেছেন, ‘একবার ভাবুন তো, লকার রুম থেকে আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনের খোঁজ নিচ্ছিলাম। তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। তারা কোনো সমস্যায় পড়েছে কিনা। নিরাপদ আছে কিনা। খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা আমাদের দলের খেলোয়াড়দের শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তারপরও তারা বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালের আগে সবকিছু সেকেন্ড টু সেকেন্ড মেনে চলা হয়। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, দলীয় মিটিং, স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা, মাঠে আসা। এরপর আপনাকে শুনতে হয় যে ম্যাচ আধাঘণ্টা পরে শুরু হবে। অপেক্ষা করুন। এরপর ৪৫ মিনিট, এরপর এক ঘণ্টা! এরকম হলে সবকিছু উলট-পালট হয়ে যায়। আমি আবারও বলছি এটা উভয় দলের জন্যই সমস্যা তৈরি করেছিল। এ বিষয়ে আমি কেবল অভিযোগ দিলাম। কোনো অজুহাত দাড় করাতে চাচ্ছি না।’
দর্শকরা যখন স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে প্রবেশ করে তখন উভয় দলের প্রি-ম্যাচ ওয়ার্ম-আপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠানো হয়।
লরেঞ্জো বলেন, ‘গা গরম প্রক্রিয়া একটা সময় শীতল হয়ে যায়। আবার আমরা গা গরম করি। আবার শীতল হই। এভাবেই চলছিল। এটা আসলে খেলোয়াড়দের শরীরের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল। কারণ, অধিকাংশ খেলোয়াড়ের জীবনেই এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটেছিল।’
ঢাকা/আমিনুল