অলিম্পিকেও জকোভিচ-আলকারাজ ‘মহাদ্বৈরথ’
নোভাক জকোভিচ নামটা টেনিসের দুই প্রজন্মের সঙ্গে মিশে আছে। রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার ও অ্যান্ডি মারে হয়ে কার্লোস আলকারাজ অবধি। নাদাল-ফেদেরারদের যুগের পতাকা নিয়ে জকোভিচ লড়ে যাচ্ছেন আলকারাজের মতো তরুণদের মঞ্চে। প্যারিস অলিম্পিকে সোনার পদকের লড়াইয়ে আরেকবার মঞ্চায়নের অপেক্ষায় জকোভিচ-আলকারাজ মহাদ্বৈরথ।
টেনিসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৪ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড জকোভিচের দখলে। সর্বকালের সেরার তালিকায় নামটা তো আগেই বসিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু অলিম্পিকে কোনো সোনা জিততে পারেনি সার্বিয়ান তারকা! এমনকি ভাগ্যে জোটেনি রুপাও। কখনো যে ফাইনালেই খেলা হয়নি। ২০০৮ আসরে জেতা ব্রোঞ্জই তার অলিম্পিক ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ সাফল্য।
অতীতের ব্যর্থতায় এবার প্রলেপ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্যারিসে এসেছেন ‘জোকার’। সেমিফাইনালে ইতালির লরেনৎসো মুসেত্তিকে ৬–৪, ৬–২ গেমে পেয়েছেন ফাইনালের টিকিট। তবে ফাইনালের লড়াইটা তার জন্য মোটেই সহজ হবে না। যেখানে তিনি প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছেন আলকারাজ। ফ্রান্সের ফেলিক্স অরি–আলিয়াসিমেকে ৬–১, ৬–১ গেমে হারিয়েছেন স্প্যানিশ তরুণ।
আলকারাজের বিপক্ষে জকোভিচের লড়াইটা কখনোই সুখকর হয়নি। স্প্যানিশ তারকার বিপক্ষে পরপর দুটি উইম্বলডনের ফাইনালে হেরেছেন সার্বিয়ান তারকা। এবারও সেই আশঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে। আলকারাজকে ফেভারিট মানতেও কোনো কার্পণ্য করছেন না ‘জোকার’ খ্যাত এই তারকা।
তবে ফাইনালে উঠে রুপা জিততে পেতে আনন্দিত জকোভিচ বলেছেন, ‘যেভাবে খেলছে (আলকারাজ), সে নিশ্চিতভাবেই ফেবারিট। তবে শনিবার যা-ই ঘটুক, যা হয়েছে, তা অনেক বড়। নিশ্চিতভাবেই আমি এখন গর্বিত ও আনন্দিত। এটা অনেক বড় সাফল্য।’
এদিকে ফাইনাল নিয়ে কথা বলেছেন আলাকারাজও। মাত্র কদিন আগেই উইম্বলডনে জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এরপরও সোনা জয়ের লড়াইকে সহজ ভাবছেন না তিনি, ‘নোভাকের মুখোমুখি হওয়া সব সময় কঠিন। সেটা ফাইনালে হোক কিংবা প্রথম রাউন্ডে।’
ঢাকা/বিজয়