বৈষম্যের শিকার হলে সমন্বয়ের আশ্বাস গাজী আশরাফের
সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাতে পাল্টে গেছে রাষ্ট্র ব্যবস্থাও। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয়েছে সরকারের। তাতে ওলটপালট হতে শুরু করেছে শাসন ব্যবস্থাও। সেই হাওয়া লেগেছে ক্রিকেটাঙ্গনেও। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ একাধিক বোর্ড পরিচালকরাও লাপাত্তা। ধরে নেওয়াই যায়, বর্তমান বোর্ড ভেঙে যাবে কিছুদিনের ভেতরেই।
সামনে অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড নেবে দায়িত্ব। জাতীয় দল ঘোষণার একটি নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া থাকে। নির্বাচকদের বাছাই করা দল ঘোষণার আগে বোর্ড সভাপতির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বিসিবির করা নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল বাছাইয়ে বোর্ড সভাপতিও অন্তর্ভূক্ত।
কিন্তু এবারের পাকিস্তান সফরের দল নির্বাচনে বোর্ড সভাপতির অনুপস্থিতিতে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু নিজে দায়িত্ব নিয়ে দিয়েছেন দুই টেস্ট সিরিজের দল। বরাবরই অভিযোগ ছিল, দল নির্বাচন, একাদশ গঠন এমনকি টস জিতে ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের সিদ্ধান্তেও নাজমুল হাসান প্রত্যক্ষ প্রভাব রাখতেন। দলীয় বৈঠকে নিজে ইনপুট দিতেন। যা অনেক সময়ই পছন্দ করতেন না ক্রিকেটাররা।
তবে গাজী আশরাফ হোসেন জানালেন, তার দেওয়া দল নির্বাচনে নাজমুল হাসান প্রভাব রাখেননি কখনোই। সোমবার গণমাধ্যমে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘দল শেষ পর্যন্ত বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করতেন। তিনি অনেক সময় ক্ল্যারিফিকেশন চাইতেন। আমরা সেটার ব্যাখ্যা দিতাম। এছাড়া আমি অন্তত দায়িত্ব নেওয়ার পর সভাপতি সাহেবের কোনো প্রভাব অনুভব করিনি।’
হওয়া বদলে বেশ কজন ক্রিকেটার অভিযোগ তুলেছেন, জাতীয় দল নির্বাচন প্রভাবমুক্ত নয়। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ না পাওয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে হতাশা, ক্ষোভের কথা বলে এসেছেন ইমরুল। এখন তার দাবি, নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে। কর্মকর্তারা ক্রিকেটারদের জীবন ধ্বংস করেছেন। ক্ষমতার কালো থাবা থেকে বিসিবি মুক্ত করার দাবি তার।
রুবেল হোসেনেরও ছিল একই সুর। এছাড়া আরো কিছু ক্রিকেটার সরাসরি অভিযোগ করেননি। তবে দেশের ক্রিকেট ভালো অবস্থায় নেই তা আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন। ‘উপেক্ষিত’ দাবি করা সেসব ক্রিকেটারদের অভিযোগ শুনবেন গাজী আশরাফ হোসেন, ‘কোনো ক্রিকেটারের যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, আমি তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব যে, কোথায় ভুল হয়েছে। সেখানে যদি মনে হয়, পারফরম্যান্স ছাড়া যদি অন্য কিছু হয়ে থাকে, সেটা সমন্বয় করার সুযোগ থাকে তাহলে করবো।’
ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়