পদত্যাগে সম্মত পাপন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে সম্মতি দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি তৃতীয় মেয়াদে বিসিবি’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিসিবি’র একজন পরিচালককে পদত্যাগের বিষয়ে সম্মতির কথা জানিয়েছেন পাপন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘আজ সকালে পাপন ভাই পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বোর্ড সংস্কারের পক্ষে রাজি আছেন।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন বিসিবি’র প্রেসিডেন্ট। জানা গেছে, তিনি সস্ত্রীক লন্ডনে অবস্থান করছেন। একই জায়গায় বিসিবি’র পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজও অবস্থান করছেন।
পাপনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত আরেক পরিচালক ইসমাইল হায়াদার মল্লিক মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। পাপনসহ বিসিবি’র নির্বাচিত ১৩ জন পরিচালক আত্মগোপনে আছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে রাইজিংবিডি।
পাপনসহ বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালকরা আড়ালে চলে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে কার্যক্রম। সামনে নারী বিশ্বকাপ থাকলেও কোনো কাজ করতে পারছেন তারা। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন দেশে থাকা জনাদশেক পরিচালক।
এর মধ্যে তারা গিয়ে বোর্ডের অবস্থান অবহিত করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার কাছে। এখন তারা অপেক্ষায় আছেন সরকারি রূপরেখার।
পাপনের পদত্যাগের পর কী হতে পারে? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো সিদ্ধান্তে আসতে নয়জনের কোরাম প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পরিচালক মাহবুব আনাম, ইফতেখার রহমান, আকরাম খান, কাজী এনাম, জালাল ইউনুস, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন, সাজ্জাদুল আলম ববিসহ কোরামও প্রস্তুত আছে বলে রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে।
এখন তারা শরণাপন্ন হবেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। তারা সিদ্ধান্ত দিলে বোর্ডের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া পরিচালকদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন দুজন। তাদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন যে কেউ।
এর বাইরে গিয়ে পরিচালকরা যদি স্বেচ্ছায় একযোগে পদত্যাগ করেন এবং নতুন বোর্ড আসে, তাহলে আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে যে পথে এগোনো প্রয়োজন, সেই পথে চলার চেষ্টা করছেন পরিচালকরা।
রিয়াদ/রফিক