ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট

এগিয়ে থেকে দিন শেষ বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২৪ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৯:৫২, ২৪ আগস্ট ২০২৪
এগিয়ে থেকে দিন শেষ বাংলাদেশের

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে) ::
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ২৩/১ (১০ ওভার)

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ ডিক্লে. (১১৩ ওভার)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬৫/১০ (১৬৭.৩ ওভার)

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। ৯৪ রানে এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:

চতুর্থ দিন বিকেলে ব্যাটিং করতে নেমে শুরতেই শরিফুল ইসলামের বলে ওপেনার সাইম আইয়ুবকে হারায় পাকিস্তান। এরপর দিনের বাকি সময়ে আর কোনো বিপদ হয়নি। কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করেছেন আবদুল্লাহ শফিক (১২*) ও অধিনায়ক শান মাসুদ (৯*)।

এর আগে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ১১৭ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। মুশফিক ছাড়াও চার ফিফটিতে অবদান রাখেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

শুরুতেই শরিফুলের আঘাত
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হেনেছেন শরিফুল ইসলাম। ১৪ বলের মধ‍্যে ভাঙল পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। শরিফুল্বের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাইম আইয়ুব। তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। ব‍্যাটের কানায় লেগে সহজ ক‍্যাচ যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। ৩ বল খেলে ১ রান করেন আইয়ুব।

বাংলাদেশের ১৬৭ রানের লিড
শেষ স্বীকৃত ব্যাটার ছিলেন মেহেদী হাসান মরাজ। তিনি আউট হতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। মাঝে ছোটখাটো ঝড় তোলেন শরিফুল। তিনিও বিদায় নিতেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে বাংলাদেশ লিল ১১৭ রানের লিড। পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের জবাবে দেশটির বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৫৬৫ রান করল বাংলাদেশ।

৩টি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফলতম বোলার নাসিম শাহ। দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আলি ও খুররম শাহজাদ।

মুশফিকের বিদায়ে ভাঙল ১৯৬ রানের জুটি
চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পারলেন না মুশফিক। ১৯১ রানে থামতে হলো অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। মোহাম্মদ আলির অফ স্টাম্পের একটু বাইরের ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন রিজওয়ানের গ্লাভসে। ভাঙে ১৯৬ রানের জুটি। ৩৪১ বলে ২২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯১ রান করেন মুশফিক।

ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ এখন এগিয়ে ৮১ রানে।

মুশফিক-মিরাজের জুটিতে রেকর্ড, দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের
মুশফিবুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব‍্যাটে সপ্তম উইকেটে এই প্রথম দেড়শ রানের জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। এর আগে টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের আগের সেরা ছিল ১৪৫। ২০১০ সালে নিউ জিল‍্যান্ডের বিপক্ষে হ‍্যামিল্টন টেস্ট করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।

এদিকে মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দেওয়ার পথে নিজের সপ্তম ফিফটির দেখা পেয়েছেন মিরাজ। তাদের জুটিতে ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশের লিড। দ্বিতীয় সেশন পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

৩১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১০৬ রান তুলেছেন মুশফিক-মিরাজ। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় ১৪৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৪৯৫। পাকিস্তানের চেয়ে এখন সফরকারীরা এগিয়ে ৪৭ রানে।

মুশফিকের দেড়শ, বাংলাদেশের লিড
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানি বোলারদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছেন মুশফিকুর রহিম। সেই যে নেমেছেন, এরপর তাকে আর আউট করতে পারছেন না কেউ। এর মধ্যে সেঞ্চুরির ঘর পেরিয়ে দেড়শ পেরিয়ে গেছেন বাংলাদেশী ব্যাটার। সেই সঙ্গে দলকে এনে দিয়েছেন লিড।

মুশফিককে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অপরপ্রান্তে ফিফটির অপেক্ষায় আছেন মিরাজ। ১৫৩ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক, ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। দুজনের পার্টনারশিপ একশর ঘর ছাড়িয়ে দেড়শর দিকে যাচ্ছে।

মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে বাংলাদেশের চারশ
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে চারশ পেরিয়ে লিডের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন মিরাজ। বিদেশে এ নিয়ে দশমবার কোনো টেস্টে চারশ স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের রান।

মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ঝলমলে প্রথম সেশন
সাদমান ইসলাম সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও নিরাশ করলেন। হয়তো অভিজ্ঞতার অভাবেই নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়েছেন এই ব্যাটার। তবে মিস করলেন না মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন উইকেটকিপার ব্যাটার।

আগা সালমানের বলটিকে ফাইন লেগে খেলে ২ রান নিতেই মুষ্টিবদ্ধ হাতে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন মুশফিক, করলেন গর্জনও। বরাবর ২০০ বল খেলে ১২টি চারের মারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন মুশফিক।

টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১১তম সেঞ্চুরি আর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন মুশফিক। অন্য দুজন হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর।

এই সেঞ্চুরিতে মুশফিক ছাড়িয়ে গেলেন তামিম ইকবালকে। এর আগে যৌথভাবে ১০টি টেস্ট সেঞ্চুরি করে দুজন ছিলেন শীর্ষে। মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম সেশন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

লিটনের বিদায় ভাঙলো জুটি
আগের দিন নাসিম শাহর এক ওভারে ১৮ রান তুলে ফিফটি করেছিলেন লিটন। চতুর্থ দিন সেই নাসিমের বলেই উইকেট দিতে হলো তাকে। পাকিস্তানি পেসারের বাড়তি বাউন্সের বলটা কাট করতে চেয়েও পারেননি লিটন। বল তার ব্যাট চুমো খেয়ে জমা হয় রিজওয়ানের গ্লাভসে। ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে ১৭১ বল স্থায়ী ১১৪ রানের জুটি। ৭৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করেন লিটন। 

রিভিউ নিয়ে মুশফিকের রক্ষা
দিনের শুরুতেই রক্ষা পেলেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাকফুটে গিয়ে আলিকে খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটার। একটু নিচু হয়ে ভেতরে ঢোকা বল আঘাত করে তার প্যাডে। আবেদনের জবাবে আম্পায়ারও আঙ্গুল তুলে দেন। চ্যালেঞ্জ জানান মুশফিক। তাতে বেঁচে যান তিনি। সে সময় ৫৯ রানে ছিলেন তিনি।

৯৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩২৫। এখনও ১২৩ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।

ঢাকা/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়