ঢাকা     শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৬ ১৪৩১

ঐতিহাসিক জয়ে যেসব রেকর্ডকে সঙ্গী করলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ২৬ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৩:৩৭, ২৬ আগস্ট ২০২৪
ঐতিহাসিক জয়ে যেসব রেকর্ডকে সঙ্গী করলো বাংলাদেশ

পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব‌্যাট-বলের দুর্দান্ত ক্রিকেটে প্রথমবার পাকিস্তানের ম‌াটিতে আন্তর্জাতিক ম‌্যাচ জিতেছে নাজমুল হোসেনের দল। এই ম্যাচে বেশ কিছু রেকর্ডকে সঙ্গী করেছে বাংলাদেশ। সেসব রেকর্ডে চোখ বুলানো যাক-

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ টেস্টে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। এর আগে ১৩ টেস্টে ১২টিতেই বাংলাদেশ হেরেছিল। ১টি ড্র করতে পেরেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ টেস্টের ছয়টিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ‌্যে দশম দেশের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। এখন বাকি আছে কেবল ২ দেশ। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি টাইগাররা। এ বছর দুই দেশের বিপক্ষেই খেলা আছে বাংলাদেশের। এবার কি সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দেখা মিলবে?

১০

১০ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে এতো বড় ব‌্যবধানে আগে কখনো জিতেনি লাল-সবুজের দল। এর আগে সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে জয় ছিল নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইতে।

পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারের লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তান এবারই প্রথম ১০ উইকেটে হেরেছে। এর আগে কোনো দল তাদের মাটিতে ১০ উইকেটে জিতেনি। জানিয়ে রাখা ভালো, লম্বা সময় পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরাতে হোম সিরিজ খেলেছে। সেখানেও তাদের ১০ উইকেটে হার নেই। ২০১৪ সালে দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে তাদের হারিয়েছিল।

পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। এরপরও ম‌্যাচ হেরেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ নিয়ে চতুর্থবার ইনিংস ঘোষণা করে ম‌্যাচ হারতে হয়েছে তাদের। ঘরের মাঠে ৬৩ বছরে এমন দুঃস্মৃতিতে সঙ্গী করলো তারা।
 

পাকিস্তান টানা নয় ম‌্যাচ ঘরের মাঠে জয়হীন। পাঁচটি ম‌্যাচ হারা হেরেছে। ড্র করেছে চারটি।

২২২

এ ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ান ২২২ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫১ রান। যা এক ম‌্যাচে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ রান। ১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তসলিম আরিফ ২১০ রান করেছিলেন।

১৯১

মুশফিকুর রহিম ১৯১ রান করেন প্রথম ইনিংসে। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো বাংলাদেশি ব‌্যাটসম‌্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ২০৬ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল ২০১৫ সালে খুলনাতে। মুশফিক পাকিস্তানের মাটিতে তৃতীয় ব‌্যাটসম্যা হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন। এর আগে জাভেদ ওমর ১১৯ ও হাবিবুল বাশার ১০৮ রান করেছিলেন।

১১

মুশফিকুর রহিম ১১ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন। যা মুমিনুল হকের ১২ সেঞ্চুরির পরই রয়েছে। এই সেঞ্চুরিতে মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে।
 
১৩৩

দ্বিতীয় টেস্টে ১৩৩ রান করতে পারলে মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যাবেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ৩৪ রান করতে পারলে তিন ফরম‌্যাট মিলিয়ে তামিমের রানকে ছাড়িয়ে যাবেন। মুশফিকের রান ১৫ হাজার ১৫৯। তামিমের রান ১৫ হাজার ১৯২।

মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটে সপ্তম ম‌্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। যা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। পেছনে ফেলেন সাকিব আল হাসানকে।

ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়