বার্সেলোনার গোলবন্যায় ভেসে গেল ভায়াদলিদ
ম্যাচে গোল হয় একটি, দুটি, তিনটি কিংবা সর্বোচ্চ পাঁচটি। কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো গোল হলে সেটা গোলবন্যা ছাড়া আর কিইবা বলা যায়। লা লিগায় সেই গোলবন্যাই বইয়ে দিলো বার্সেলোনা। তাতে ভেসে গেল রিয়াল ভায়াদলিদ। তাদের বিপক্ষে রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনার জয়টা এসেছে ৭-০ ব্যবধানে।
ম্যাচে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বার্সেলোনা। বিরতির পর গুনে গুনে আরও চারবার জাল খুঁজে নেয় হ্যান্সি ফ্লিকের দল। রাফিনিয়ার তিনটি ছাড়া একটি করে গোল করেন রবার্ট লেভানডোভস্কি, জুল কুন্দে, দানি ওলমো ও ফেরান তোরেস। এ নিয়ে চার ম্যাচে চার জয়ে শতভাগ সাফল্য ধরে রাখলো বার্সা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে শুরু হওয়া ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করেন দানি ওলমো। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে তার ডান পায়ের ভলি পোস্টে লাগে। দশম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার জোরালো ঠেকিয়ে দেন ভায়াদলিদ গোলরক্ষক।
অবশেষে ২০তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। পাউ কুবার্সির উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। একইভাবে পরের গোলটি করেন লেভানডোভস্কি।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান কুন্দে। কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে ওপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান ফরাসি ডিফেন্ডার। তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ংকর রূপে ধরা দেয় বার্সেলোনা। ৫৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ওলমো। বক্সে ইয়ামাল নিজে শট না নিয়ে বল দেন ওলমোকে, কিন্তু বলে পা-ই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। এরপর ৬৪তম মিনিটে ব্যবধান চারে নিয়ে যান রাফিনিয়া। লেভানডোভস্কির পাস থেকে জাল খুঁজে নেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া এদিন ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। তারই ধারাবাহিকতায় ৭২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। পাল্টা আক্রমণে নিজেদের অর্ধ থেকে বল ধরে এগিয়ে গিয়ে পাস দেন ইয়ামাল। বক্সে ঢুকে প্রথম স্পর্শে বা পায়ের শটে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন রাফিনিয়া।
অনেকগুলো মিসের পর ৮২তম মিনিটে জালের দেখা পান ওলমো। বক্সের সামনে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি, এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল পাঠান জালে। ৮৪তম মিনিটে ভায়াদলিদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন তোরেস।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ভিয়ারিয়াল। ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে ভায়াদলিদ।
ঢাকা/বিজয়