ঢাকা     শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৮ ১৪৩১

‘কখনোই ভাবিনি পানি পানের বিরতির আগে নামতে হবে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০০, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
‘কখনোই ভাবিনি পানি পানের বিরতির আগে নামতে হবে’

২৬ রানে নেই ৬ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকাল যেন বাংলাদেশের জন্য ভুতুড়ে। ব্যাট হাতে লড়াইয়ের দায়িত্ব নেন লিটন দাস। সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের অনবদ্য রেকর্ড জুটিতে ধ্বংসস্তুপ থেকে বাংলাদেশ দেখে টেস্ট ক্রিকেটে আনিন্দ্যসুন্দর এক দিন। 

অথচ সেঞ্চুরিয়ান লিটন ভাবেননি তাকে এত আগে ব্যাটিংয়ে নামতে হবে। আসলেই তাই, স্কোরবোর্ডের রান আর উইকেট সংখ্যা দেখলেই হবে স্পষ্ট। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে প্রতিক্রিয়ায় লিটন জানান স্নায়ুচাপে ভোগার কথাও।

‘ওই মুহূর্তে কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। কখনোই ভাবিনি আমাকে পানি পানের বিরতির আগেই ব্যাটিংয়ে নামতে হবে। মিরাজকে শুধু বলেছিলাম, ওরা এখন ভালো ছন্দে আছে। আমাদের কিছুটা সময় নিতে হবে। তারপর দেখা যাক, কী হয়।’

আরো পড়ুন:

২৬ রানে ৬ উইকেটের পতনের পর শুরু হয় লিটন-মিরাজের লড়াই। ৭৮ রানে মিরাজের আউটে ভাঙে ১৬৫ রানের জুটি। সপ্তম উইকেটে যা বিশ্ব রেকর্ড। মিরাজ আউট হলেও থামেননি লিটন। তিন টেল-এন্ডার নিয়ে যোগ করেন আরও ৭১ রান। তাতে অবশ্য হাসান মাহমুদের অবদান বেশি। ৫১ বল খেলে ১৩ রান করে তিনি দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন লিটনকে। শেষ পর্যন্ত লিটন আউট হন ১৩৮ রানে। তার আউটের পর নাহিদ রানার আউটে বাংলাদেশও অলআউট হয়। 

তাসকিন আহমেদের আউটের পর হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। হাসানের প্রশংসা করে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘হাসান (ব্যাটিংয়ে) আসার পর আমি পুরোপুরি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় চলে গিয়েছিলাম। আমি যখন স্ট্রাইকে ছিলাম, তখন সব ফিল্ডার (৩০ গজ বৃত্তের) বাইরে ফিল্ডিং করছিল। তখন আমার বাউন্ডারি বা কোনো কিছু বের করার কোনো সুযোগই ছিল না। হাসানকে কৃতিত্ব দিতে হবে। সে আমাকে অনেকক্ষণ খেলার সুযোগ দিয়েছে। আমার সঙ্গে তার একটাই পরিকল্পনা ছিল যে, আমরা ১ রান, ২ রান নিয়ে এগোব। আমরা যতক্ষণ ব্যাট করব, ওদের লিডের পরিমাণ তত কমবে।’

পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ২৬২ রানে অলআউট হয়। অথচ একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ফলোঅন সময়ের ব্যাপার। কিন্তু লিটন এসব মাথায় আনেনি। 

‘আমি কখনোই দীর্ঘ চিন্তাভাবনা করিনি। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে যখন (নিজের ইনিংস) শুরু করলাম, এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি আউট হয়ে গেছেন। এরপর মিরাজের সঙ্গে একটাই আলোচনা হয়েছে যে খেলাটা কতটা লম্বা টানা যায়।’ 

‘ওরা সে সময় খুব ভালো বল করছিল। নতুন বলে খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। অনেকটা কৃতিত্ব মিরাজকে দিতে হবে। কারণ, হাতে লাগার কারণে ঠিকঠাক ব্যাট করতে পারছিলাম না। ওই সময় মিরাজই ওদের মোমেন্টাম নষ্ট করে দিয়েছে। শুরুর দিকে ওর কয়েকটা বাউন্ডারি আমাদের ছন্দে ফিরিয়েছে।’

বাংলাদেশের চাওয়া এখন দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে কম রানে আটকে দেয়া। লিটন জোর দিচ্ছেন সঠিক জায়গায় বোলিং করা নিয়ে। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান মাত্র ৯ রানে হারিয়েছে ২ উইকেট! 

লিটন বলছেন এই পিচে ব্যাটিং করা সহজ নয়, ‘না, এটা সম্পূর্ণ আলাদা পিচ। আগের টেস্টে বল দেখেই মারা যেত। এই পিচে ছন্দ ধরে রেখে ব্যাট করতে হচ্ছে। এই পিচ কিছুটা মন্থর। তাই শট খেলার আগে ভাবতে হচ্ছে, কোনটা মারব কোনটা ছাড়ব।’ 

রিয়াদ/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়