রাইস-গ্রিলিশের গোলে আয়ারল্যান্ডকে হারালো ইংল্যান্ড
দলের আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা তিন তারকা নেই। তাতে শঙ্কা জেগেছিল, নেশন্স লিগে কেমন করবে ইংল্যান্ড। সব শঙ্কা উড়িয়ে শুরুটা দারুণ করলো লি কার্সলির দল। ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রিলিশের জোড়া গোলে আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তাদের আক্রমণের তোড়ে সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। আর দ্বিতীয়ার্ধে দাপুটে ফুটবলে এর জবাব দেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় পায়নি জালের দেখা।
ডাবলিনে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় অবশ্য আয়ারল্যান্ডই। কর্নার থেকে সতীর্থের ফ্লিক দূরের পোস্টে পেলেও অরক্ষিত জেয়সন মোলাম্বি হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। সপ্তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের চমৎকার ক্রসে পেনাল্টি স্পটের কাছে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হ্যারি কেইন।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। অবশেষে একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান অ্যান্থনি গর্ডন। তার চেষ্টা ব্যর্থ করলেও বল হাতে রাখতে পারেননি আইরিশ গোলরক্ষক কিভিন কেলাহার। ফিরতি বলে কেইনের চেষ্টাও ব্যর্থ হলে আলগা বলে জাল খুঁজে নেন রাইস।
পঞ্চদশ মিনিটে সহজ সুযোগ হারান কেইন। খুব কাছ থেকেও বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার পরাস্ত করতে পারেননি আয়ারল্যান্ড গোলরক্ষক কেলাহারকে। এরপর ২৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিলিশ। রাইসের কাটব্যাক ডি বক্সের মাথায় পেয়ে পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে বিপুল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণে সফরকারীদের কাঁপিয়ে দেয় তারা। ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় কমিয়েই ফেলেছিল আইরিশরা। তবে একটুর জন্য জাল হুজে পাননি স্যামি স্মডিক্স। দুই মিনিট পর ভালো জায়গা থেকেও বাইরে মেরে দলকে হতাশ করেন মোলাম্বি।
এরপর যোগ করা সময়ে দুই দলই সুযোগ পেলেও ব্যবধান একই থেকে যায়। আগামী বুধবার ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। সেদিনই গ্রিসের মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ড।
ঢাকা/বিজয়