ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

সেরাটা এখনো দেওয়া বাকি, বললেন নাহিদ রানা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:৪৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সেরাটা এখনো দেওয়া বাকি, বললেন নাহিদ রানা

স্মুথ রান আপ। বেশ জোরে রানিং করছেন তা বলা যাবে না। কিন্তু হাত ঘুরিয়ে বলটা যখন ছুঁড়লেন তখন বিস্ময়ে চোখকেও অবিশ্বাস্য লাগে! ১৫২ কি.মি. বোলিং গতি। ধারাভাষ্যকাররাও অবাক হয়ে যান। বলতে বাধ্য হন, ‘নতুন পেস তারকার বিশ্ব ক্রিকেটে আগমন।’

বলা হচ্ছে নাহিদ রানার কথা। বাংলাদেশের তরুণ পেসার এবার পাকিস্তান সফরে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নিজের গতিতে। পাকিস্তানের জন্য বিষয়টি একদমই নতুন নয়। কিন্তু সফরকারী দলের কেউ এমন কিছু করবে তা কল্পনায় ঠেকেনি। নাহিদ শুধু গতির ঝড়ই নয়, ছন্দ আর সুইং মিলিয়ে ছিলেন অনন্য। দুই টেস্টে নাহিদের শিকার ৬ উইকেট। এর মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানে ৪ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। নিজের এই সাফল্যকে স্বপ্নের মতো ভাবছেন না নাহিদ, ‘স্বপ্নের মতো না, কিন্তু আমি যেটা আশা করেছিলাম, টিম যেটা প্রত্যাশা করেছিল ওই জিনিসটা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে আমি বলেছিলাম দেশের জন্য কিছু করতে চাই। করতে পেরেছি। এজন্য অনেক ভালো লাগছে।’

নাহিদের গতি তার এক্সফ্যাক্টর। নিজের বোলিংয়ের শক্তিশালী দিক সম্পর্কে তার জানা। তবে কেবল জোরেই বল করতে হবে এমন ধারনা নিয়ে পড়ে থাকেন না তিনি, ‘এটা কখনো ফিল করি না যে, ১৫২ কি.মি. তে বল করতে হবে কিংবা এর চেয়েও জোরে করতে হবে। একটা জিনিসই মাথায় নিয়ে বোলিং করেছি, দল আমাকে যে পরিকল্পনা দিয়েছে ওই পরিকল্পনায় করেছি বা আমার নিজের যেই পরিকল্পনা করেছি সেটাই অনুসরণ করেছি।’ 

পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন নাহিদ। দেশের এই পরিস্থিতিতেও নাহিদ নিজের বাড়ির আঙিনায় ছিল খুশির জোয়ার। আশেপাশের মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানাতে কার্পণ্য করেননি, ‘তারা অনেক হ্যাপি। আমার বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, গ্রামের সবাই। প্রত্যেকে খুশি। তারা সবাই বলছে, এখন ভালো হয়েছে। সামনে আরও ভালো করতে হবে। এগিয়ে যাও।’

নাহিদ আগে জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে জোরে বল করেছিলেন রুবেল হোসেন। তবে নাহিদ কাউকে অনুসরণ করেন না। বাংলাদেশের সব পেসাররাই রয়েছে তার পছন্দের তালিকায়, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার সেভাবে কাউকে অনুসরণ করা হয় না। বাংলাদেশের সব পেস বোলারদের ভালো লাগে। কারণ, তাদের সবার খেলা দেখেই বড় হয়েছি। সে রকম কেউ একজন নয়। বাংলাদেশের সবার খেলাই ভালো লাগে। ওনাদের খেলা দেখে বড় হয়েছি। সবার বোলিংই ভালো লাগে।’ 

পাকিস্তানের সফল মিশন শেষে বাংলাদেশের পরবর্তী গন্তব্য ভারত। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে দুদিন হলো। নাহিদও আরও বড় লক্ষ্য নিয়ে ভারতে খেলার কথা বললেন, ‘আজকে অনুশীলন করলাম। প্রস্তুতিও ভালো আছে। প্রস্তুতি যত ভালো হবে ম্যাচের মধ্যে ভালো করার সম্ভাবনা তত ভালো হবে। ভারত তো অবশ্যই ভালো দল। দুই দলের মধ্যে যে ক্রিকেটটা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। তখন দেখা যাবে ম্যাচের মধ্যেই। টার্গেট তো আছে। দলকে এখনো আমার সেরাটা দেওয়া বাকি রয়েছে। দিবো সামনে।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়