ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

‘কিপিং কখনও ব্যাটিংয়ে হেল্প করে না’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
‘কিপিং কখনও ব্যাটিংয়ে হেল্প করে না’

উইকেট কিপিং নিয়ে দুই ক্রিকেটার তাহলে দুই মেরুতে চলে গেলেন। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাশ। কিপিং নিয়ে মুশফিকুর রহিমের ভাবনা মোটামুটি সবারই জানা। কিপিং তার মনের ভেতর এমনভাবে গেঁথে গেছে, এটা তার কাছে ব্যাটিংয়েরই একটা প্রক্রিয়া। অথচ তারই সতীর্থ লিটন দাশের সরল স্বীকারক্তি, কিপিং ব্যাটিংয়ে কখনো সাহায্য করে না।

২০০৫ সালে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় মুশফিকের। সে সময়ে বাংলাদেশের হয়ে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতেন খালেদ মাসুদ পাইলট। ২০০৭ সালে পাইলটের অবসরের পর উইকেটকিপার হিসেবে মুশফিকের পথচলা শুরু হয়।

ব্যাটিংয়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠলেও মুশফিকের উইকেট কিপিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলা, রান আউট মিস করার কারণে তাকে এই দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

যদিও উইকেট কিপিং নিয়ে তার ভাবনা ছিল এরকম, ‘কিপিং যেটা বলি আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করে। এমন নয় কিপিং করলে আমি প্রতি ম্যাচেই এক’শ বা দুই’শ করব। কিন্তু কিপিংটা একটা প্রক্রিয়া এবং আমি এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি বিশ্বাসী। আমার মনে হয় এটা অনেক সাহায্য করে।’

মুশফিকের থেকে অনেকটা ‘জোর’ করেই গ্লাভস নেওয়া হয়েছে। ব্যাটিংয়ে তাকে পুরো মনোযোগী রাখতেই এমনটা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিসংখ্যান টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষেই কথা বলছে।

৯০ টেস্ট খেলা মুশফিক ৫৫ টেস্টে কিপিং করেছেন। যেখানে ১০৪ ইনিংসে রান করেছেন ৩৫১৫। ব্যাটিং গড় ৩৭.০০। যেখানে রয়েছে ৬ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটি। ক্যারিয়ার সেরা ২১৯ রান করেছেন উইকেট কিপিং করে। কিপিং ছাড়া ৩৫ টেস্টে ৬২ ইনিংসে মুফিকের রান ২৩৭৭। ব্যাটিং গড় ৪২.৪৪। রয়েছে ৫ সেঞ্চুরি, ১১ ফিফটি। এ সময়েও রয়েছে একটি ডাবল সেঞ্চুরি (২০৩*) । এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৫* এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রান করেছেন।

লিটন এখন দলের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। লম্বা সময় কিপিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও করছেন সিদ্ধহস্তে। ৪৩ টেস্ট খেলা লিটন ৩২ টেস্ট খেলেছেন উইকেট কিপার হিসেবে। ৪০.৯৪ গড়ে ২০৮৮ রান করেছেন। ৪ সেঞ্চুরির তিনটিই কিপিং করে। ১৭ ফিফটির ১৪টিই এসেছে এ সময়ে। কিপিং নিয়ে তাই বেশ খোলামনে এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, কিপিংয়ে কেবল খেলার একটি অংশ হিসেবেই দেখছেন, ‘কিপিং কখনও ব্যাটিংয়ে সাহায্য করে না। কিপিং একটা পার্ট। যদি ফিল্ডিং করি, তাহলে ফিল্ডিং যেভাবে করতে হয়, কিপিং জিনিসটাও একই।’

লিটন বরং অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন, ‘আমি অলমোস্ট ৯-১০ বছর হয়ে গেছে ক্রিকেট খেলছি। ওইটুকু অভিজ্ঞতা তো হয়েছে। এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার। এখন যদি দায়িত্ব না নেই, তাহলে আর কবে? দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে, জিনিসটা এই না যে প্রতি ম্যাচে আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মানুষ, ভুল হতে পারে।’

নিজের ব্যাটিং নিয়েও লিটন খোলামেলা কথা বলেছেন, ‘আমি যে খুব অ্যাটাকিং খেলি, ব্যাপারটা তা না। আমার কাছে যেটা মনে হয় স্কোরিং জোনের বল, আমি ওইটাতে স্কোর করার চেষ্টা করি। আর অবশ্যই এখন যে কোনো ফরম্যাটে দেখবেন রান করাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়। আপনি যদি লাস্ট গেমও চিন্তা করেন বা তার আগের গেমও চিন্তা করেন আমি একটা জায়গায় গিয়ে কিন্তু রান করতে পারতেছিলাম না।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়