জিম্বাবুয়েতে মাল্টি-স্পোর্টস স্টেডিয়াম নির্মাণ আইসিসির
জিম্বাবুয়ে একসময় ক্রিকেট বিশ্বে বেশ পরাক্রমশালী দল হিসেবেই নিজেদের জানান দিয়েছিল। সময়ের তোড়ে ভেসে গেছে তাদের ঐতিহ্য। তবে রয়ে গেছে ক্রিকেট। তাদের ক্রিকেটকে পুনরুত্থান করতে নেমে পড়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিও। এবার তারা জিম্বাবুয়েকে নির্মাণ করে দিচ্ছে স্টেডিয়াম।
ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, দেশটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ভিক্টোরিয়া ফলসের কাছে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে। এটির নাম রাখা হবে রাখা হচ্ছে ‘মোসি-ওয়া-টুনিয়া।’ স্টেডিয়ামটিতে একসঙ্গে ১০ হাজার দর্শক বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া। আইসিসি থেকে এটি নির্মাণের পেছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে দুটি বৈশ্বিক ইভেন্ট। এই মাঠেই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জিম্বাবুয়ে।
ভিত্তিপ্রস্তরের সময় মানানগাগওয়া বলেছেন, ‘এই শহরে স্টেডিয়ামটির অবস্থান নিঃসন্দেহে পর্যটন খাতে দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং জাতীয় উন্নয়ন কৌশল রূপকল্প ২০৩০-এ বর্ণিত আমাদের জাতীয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার দিকে অবদান রাখবে।’
আগামী বছর নামিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে জিম্বাবুয়ে। সেই সঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপের সহ আয়োজকও আফ্রিকার দেশটি। এই টুর্নামেন্টগুলোকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করছে জিম্বাবুয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্মাণ হচ্ছে স্টেডিয়াম।
ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ১০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। এই স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্পূর্ণ অর্থই দিচ্ছে আইসিসি। এটা নির্মাণের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে অন্য কিছুর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে না আইসিসি।
ভিক্টোরিয়া ফলস স্টেডিয়ামটির মাল্টি-স্পোর্টস স্টেডিয়াম হিসেবে তৈরি করা হবে। সেখানে ক্রিকেটের বাইরেও রাগবি, হকি ও নেটবল খেলার সুযোগ সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম পেতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
ঢাকা/বিজয়