ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১

ভারত এগিয়ে তবে বাংলাদেশকেও সেরা মনে হচ্ছে হার্শার

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:৫৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভারত এগিয়ে তবে বাংলাদেশকেও সেরা মনে হচ্ছে হার্শার

হায়দরাবাদ হোক বা ইন্দোর কিংবা কলকাতা। ভারতের মাটিতে তিন টেস্ট খেলা বাংলাদেশ কোনোবারই পারেনি স্বাগতিক দলের বিপক্ষে লড়াই করতে। ব্যক্তিগত সাফল্য আসলেও দলগত পারফরম্যান্সের ঘাটতি থাকায় মেলেনি ফল। লড়াইয়ের ছাপ না থাকায়, প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে না পারায় আয়োজকরাও যেন আতিথেয়তা দিয়ে ‘বিরক্ত’।

ভারত নিজেদের মাটিতে প্রথম গোলাপী বলে টেস্ট খেলেছিল কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। উৎসব পরিণত হয়েছিল সেই টেস্ট। কিন্তু তিনদিনেই টেস্ট শেষ হওয়ায় উৎসব যেন ‘বিষাদে’ পরিণত হয়। পাঁচ বছরের ব্যবধানে আবারো ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশকে। এবার চেন্নাই ও কানপুরে দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজে নিশ্চিতভাবেই ভারতকে এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা। তবে বাংলাদেশের দলটাকে এবার সমীহও করছেন তারা।

বাংলাদেশ এবারের সফরে লড়াই করতে পারবে এমনটাও প্রত্যাশা করছেন তারা। ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে নিজের ইউটিউব পেজে বলেছেন, ‘ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’

আরো পড়ুন:

মুশফিক, সাকিব, লিটন, সাদমান, তাসকিন, মিরাজ, তাইজুল আগেও ভারত সফর করেছে। নতুনদের মধ্যে হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা যুক্ত হয়েছেন। তাদের ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন হার্শা, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছে।’

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের গভীরতা থাকায় খুশি হার্শা। সব মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা তার, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার—একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে।’

‘লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন, মুশফিকুর রহিম–সাকিব আল হাসান–লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারতো সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তি প্রকাশ করে।’- আরও যোগ করেন হার্শা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা হার্শা এ-ও জানেন দেশের বাইরে বড় দলগুলোর বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ। ভারত পাঁচ বছরে দ্বিতীয়বার টেস্ট খেলতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় খুশি হার্শা।

‘প্রথমত, ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব খুশি। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো বাংলাদেশ এমন একটি দল, যাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হয় না। ২০১০ সালের পর তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে। আমি খুব খুশি যে ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে।’

ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়