শান্তরা না নামতেই অশান্ত কানপুর, কড়া নিরাপত্তা
সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, কানপুর থেকে || রাইজিংবিডি.কম
চার্টাড ফ্লাইটে চেন্নাই থেকে কানপুরের পথে তখন ভারত ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। হঠাৎ করে আগমন রোহিত শর্মা, শুভমান গিল ও লোকেশ রাহুলের। তারা ব্যক্তিগতভাবে পৌঁছান কানপুরে।
রোহিতরা আসার আগেই কানপুর বিমানবন্দরে বিরাজ করছিল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। বাইরে অপেক্ষা করছিল টিম বাস। রোহিতরা আসতেই তাদের ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাকর্মীরা। প্রটোকল দিয়ে তাদের নেওয়া হয় টিম হোটেলে।
২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ। তার দুই দিন আগে আজ কানপুরে পৌঁছায় দুই দল। রোহিত-গিলদের আগমনের কিছুক্ষণ পরই চার্টাড ফ্লাইটে করে কানপুরে পৌঁছান সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তরাও।
দুই দলের আগমনকে ঘিরে শহরজুড়ে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহীনির অবস্থান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নিরাপত্তা বাহীনির অবস্থান দেখে ট্যাক্সি ড্রাইভার নিজ থেকেই বলছিলেন, ক্রিকেট টিমের কারণে এমন অবস্থা। এমনিতে শহরে এমন নিরাপত্তা বলয় দেখা যায় না বলেও জানিয়েছেন অরপিট ত্রিবেদি নামের এই ট্যাক্সি ড্রাইভার।
এদিকে কানপুর টেস্ট ঘিরে আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিল হিন্দুসভার কানপুরের স্থানীয় সংগঠন। সংগঠনটি ক্রিকেটারদের আগমন ঘিরে আজও কানপুর গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করে তারা বিক্ষোভ করছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে বসে নেই কানপুর পুলিশ। ইন্টেলেজিন্স ব্যুরোসহ বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে নিরাপত্তা নিয়ে। বিশেষ করে গ্রিনপার্ক স্টেডিয়াম এলাকা ও টিম হোটেলে দেওয়া হবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা।
কানপুর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারিশ চান্দার জানিয়েছেন, ক্রিকেট দল থেকে পাওয়া অনুরোধের কারণে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছি যাতে কোনও আন্দোলন গড়ে না উঠে।’
১৯৪৫ সালে নির্মিত কানপুর গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে খুব একটা খেলা হয় না বললেই চলে। ২০২১ সালে হয়েছে সবশেষ টেস্ট। তারও চার বছর আগে ২০১৭ সালে হয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এবারই প্রথম খেলবে বাংলাদেশ, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলে দেবে সময়।
রিয়াদ/আমিনুল