শেষের আগেই ব্রাভোর সিপিএল অধ্যায়ের সমাপ্তি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে খেলে যাচ্ছিলেন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। এবার সিপিএলেও নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ডোয়াইন ব্রাভো। ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন, তবে শেষটা হলো বেদনাবিধূর। চোটের কারণে থামতে হলো এই অলরাউন্ডারকে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের সপ্তম ওভারে ফাফ দু প্লেসির ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পান ব্রাভো। মূলত সেখানেই শেষ ব্রাভোর সিপিএল অধ্যায়। সেদিন আর বোলিং করতে পারেননি তিনি। ব্যাটিংয়ে নামলেও খেলেন মাত্র দুটি বল। এই দুই বল হয়ে থাকলো তার শেষের স্বাক্ষী।
ব্রাভোর বিদায়ে সমাপ্তি ঘটলো সিপিএলের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটারের অধ্যায়ের। এই আসরে সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। অধিনায়ক হয়ে জিতেছেন চারবার। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের আসরে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ত্রিনবাগো। আর ২০২১ আসরে চ্যাম্পিয়ন করেন সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া এই আসরে সর্বোচ্চ উইকেট ব্রাভোর। ১০৭ ম্যাচে তার শিকার ১২৯ উইকেট। ব্যাট হাতে রান করেছেন ১২৯.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ১ হাজার ১৫৫। ১০০ উইকেট ও ১ হাজার রানের কীর্তি এখন পর্যন্ত সিপিএলে গড়তে পারেননি কোনো ক্রিকেটার।
বিদায়বেলায় সতীর্থ থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষ, ম্যানেজমেন্ট; সকলের প্রশংসায় ভাসছেন ব্রাভো। ম্যাচ শেষে আবেগময় বার্তায় ত্রিনবাগো অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড বলেন, ‘সে চোট পাওয়ার পরই এটিকে বেশ গুরুতর মনে হয়েছে। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, বিশেষ করে গোটা বিশ্ব ও ক্রিকেট খেলাটির জন্য সে যা করেছে।’
‘সত্যিই সে জাদুকরী এই ব্যক্তিত্ব। তাকে বলতে চাই ‘ধন্যবাদ।’ এই মুহূর্তে সে খুব ভালো অবস্থায় নেই অবশ্যই। তবে ক্রিকেটের জন্য সে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে এবং ক্রিকেটও তাকে পুরস্কৃত করেছে।’- যোগ করেন পোলার্ড।
প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি বলেন, ‘ব্রাভোকে এভাবে শেষ করতে দেখাটা দুঃখজনক। সে এমন একজন, যার প্রতি আমার মুগ্ধতা অনেক অনেক দিনের। সিপিএলে তার শেষ মনে হয় হয়েই গেল। স্রেফ বলতে চাই দারুণ ক্রিকেটার, দুর্দান্ত ক্যারিয়ার, অসাধারণ এক মানুষ। সে যা করেছে ক্রিকেটে, তার দেশের মানুষের গর্ব হওয়া উচিত।’
ঢাকা/বিজয়