৭০-৮০ শতাংশ টিকিট মিলবে অনলাইনে
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
লম্বা সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা। তারপরও টিকিট মিলবে কিনা নিশ্চয়তা থাকতো না। কখনো কখনো কালোবাজারির খপ্পরে পড়ে তিন-চারগুন বেশি দামতে কিনতে হয় টিকিট। বড় ম্যাচ, প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে সেই টিকিটের দাম বেড়ে যায় হুড়মুড় করে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হোম সিরিজে এগুলো নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। সাধারণ দর্শকদের জন্য টিকিট যেন সোনার হরিণ।
চিরাচরিত সেই প্রথা ভেঙে পুরোপুরি অনলাইনে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এর আগে সীমিত পরিসরে এই টিকিট অনলাইনে বিক্রির প্রক্রিয়া চালু করেছিল তারা। তখন একেবারেই কম সংখ্যক টিকিট ছেড়েছিল। সামনে দর্শকদের কথা মাথায় রেখে ৭০-৮০ শতাংশ টিকিট বিসিবি অনলাইনেই বিক্রি করবে।
যার শুরুটা হবে আগামী মাসের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের যে খেলাগুলি হয়, কাগজের টিকেটে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আমরা টিকেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিপিএল সবকিছুতে এটা বোর্ডের রাজস্ব আয়ের ভালো উৎস হতে পারে বলে মনে করছেন পরিচালকরা।’
‘আগে খুব কম পরিমাণে, ছোট্ট অংশ ছিল অনলাইনে টিকেট পাওয়া যেত। এটাকে আমরা ৭০-৮০ শতাংশই ডিজিটালাইজড করব, যতটা আমাদের জন্য উপযুক্ত হয়। প্রত্যেকটা টিকেটের হিসাব তাতে থাকবে আমাদের কাছে।’ - যোগ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এই টিকিট বিক্রিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘সামনে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে। পাইলট প্রজেক্ট হবে এই সিরিজ। বেশি টিকিট করতে হবে না, টেস্ট ম্যাচে দর্শক বেশি হয় না। ব্যবস্থাপনা কেমন হতে পারে, এসব নিয়ে আলোচনা হবে। সিরিজ যেহেতু খুব কাছে, আমরা দেখব। সিস্টেমটা যারা তৈরি করছে, তারা যদি দিতে পারে, তাহলে চেষ্টা করব আমরা।’
‘আমাদের একটা সিস্টেম আছে। তবে সেটা পুরোপুরি নয়, আমরা যেভাবে চাচ্ছি, তেমন নেই। নতুন করে আমর কাজটা যাদেরকে করতে বলেছি, তারা যদি এই সিস্টেমের সঙ্গে মেলাতে পারে, তাহলে হলোই। না হলে পুরোপুরি নতুন সিস্টেমে আমরা যাব।’
বিসিবি নিজের হাতে কিছু টিকিট রাখতে হয়। সেসব টিকিট সৌজন্যমূলক হিসেবে বিভিন্ন সংস্থাকে দিতে হয়। সেসব টিকিট আলাদা করে দেওয়ার কথা বললেন ফারুক আহমেদ, ‘আমাদের কিছু টিকেট সৌজন্যমূলক দিতে হয়, কিছু এজেন্সি আছে, যারা কাজ করে। তাদের কিছু দাবি থাকে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, র্যাব, পুলিশ, যারা যারা থাকেন, তাদের কথা বিবেচনায় রেখেছি। সৌজন্যমূলক সেই টিকেটগুলো যেন আমরা সনাক্ত করতে পারি। টিকেটে কিউআর কোড থাকবে। কোনটা সৌজন্যমূলক, কোনটা রাজস্ব টিকেট, সেটা যেন বুঝতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমরা করতে যাচ্ছি।’
ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়