কানপুরের বৃষ্টি
‘খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই হতাশাজনক ব্যাপার’—বলছেন শান্ত
ক্রীড়া প্রতিবেদক, কানপুর থেকে || রাইজিংবিডি.কম
নীল কাভারে ঢাকা পুরো স্টেডিয়াম। সুপার-সপার মেশিন ঘুরছিল কাভারের উপরে। গতকাল যে কাভার দেওয়া হয়েছিল সেটি আর সরেনি। রাতের বৃষ্টি দ্বিতীয় দিন সারাবেলাতেও ঝরতে থাকে। যথা সময়ে দুই দল স্টেডিয়ামে আসলেও মাঠে থাকেনি বেশিক্ষণ। আবহাওয়া আর অবস্থা দেখে হোটেলের পর ধরেন রোহিত শর্মা-নাজমুল হোসেন শান্তরা।
বৃষ্টির এই বাগড়াকে ‘হতাশজনক’ বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টিম হোটেলে শান্ত বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই হতাশাজনক ব্যাপার। অনেক কষ্ট করে খেলাটা শুরু হলো। কিছুক্ষণ খেলাও হলো। তারপর বন্ধ হয়ে গেল। আজ সারাদিনই খেলা হয়নি। খেলোয়াড়দের জন্য এটা হতাশাজনক। কিন্তু কিছু করারও নেই। তবে খেলা হলে ভালো লাগত।’
প্রথম দিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। শান্ত ৩১ রান ও সাদমান ইসলাম ২৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। শূন্যরানে ফেরেন জাকির হাসান।
শান্ত মনে করেন বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থায় আছে। তবে একটা উইকেট বেশি পড়ে গেছে, ‘আমার মনে হয় একটা উইকেট আমাদের বেশি পড়েছে, ব্যাটিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়েছিল আমাদের। এখনো ভালোই আছে। আমি বলব না যে খুব খারাপ অবস্থানে আছি। আমাদের অনেকগুলো ব্যাটসম্যান আছে। এখান থেকে যদি দুটি বড় জুটি হয়, তাহলে আমরা খুব ভালো অবস্থানে যেতে পারব। এই মুহূর্তে যদি খেলার অবস্থান দেখি, তাহলে আমি বলব আমরা মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি।’
গতকাল সারাদিনে মোটে খেলা হয়েছে ৩৫ ওভার। এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়ার পর মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। বিরতি শেষে আবার যথাসময়ে খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ৯ ওভার হতে দ্বিতীয়বারের মতো বৃষ্টি নামে। দুই ওপেনার ভালো শুরু করলেও জাকির ২৪ বল খেলে শূন্যরানে ফেরেন। বাংলাদেশের আর কোনো উদ্বোধনী ব্যাটার এত বেশি বল খেলে শূন্যরানে আউট হননি। এরপর সাদমানও (২৬) ধরেন সাজঘরের পথ। শান্ত দারুণ খেললেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
উইকেট নিয়ে শান্ত বলেন, ‘উইকেট ভালোই ছিল। এখানে চ্যালেঞ্জ যেটা বেশি সেটা হলো, অন অ্যান্ড অফ খেলা হচ্ছে। যে কোন সময় বৃষ্টির একটা বাধা থাকেই। এটা মাথায় নিয়ে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করছে, যেটা একটা কঠিন ব্যাপার। তা ছাড়া আমি বলব উইকেট ভালোই ছিল। সামনে হয়তো ডে থ্রি, ডে ফোর…যেহেতু বৃষ্টি, রোদও পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সামনে খেলাটা এগোলে বোঝা যাবে উইকেট কতোটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’
রিয়াদ/আমিনুল