ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজ ২০২৪

দুই উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:১৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুই উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

::: সংক্ষিপ্ত স্কোর :::
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৬/২ (১১ ওভারে)
ভারত ১ম ইনিংস: ২৮৫/৯ (৩৪.৪ ওভার)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৩/১০ (৭৪.২ ওভার)

বৃষ্টির বাধায় প্রায় আড়াই দিন খেলা পণ্ড হওয়ার পর আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনে কানপুর টেস্টের খেলা মাঠে গড়াতে পারে। বাংলাদেশ মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭৪.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করে প্রথম ইনিংসে।

জবাবে প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি স্টাইলে মারমুখী ব্যাটিং করে ভারত। অবশ্য সেটা করতে গিয়ে উইকেটও হারাতে থাকে। ৩৪.৪ ওভারের মাথায় তারা তুলে ফেলে ২৮৫ রান। উইকেট হারিয়ে বসে ৯টি। এ সময় ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইনিংস ঘোষণা করেন। তখন তারা এগিয়ে ছিল ৫২ রানে।

আরো পড়ুন:

এই রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ শেষ বিকেলে আবার ব্যাট করতে নামে। কিন্তু ২৬ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে। জাকির হাসান (১০) ও নাইটওয়াচম্যান হাসান মাহমুদ (৪) ফিরেন সাজঘরে। দুটি উইকেটই নেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন।

শাদমান ইসলাম ৭ ও মুমিনুল হক শূন্যরানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে আবার ব্যাট করতে নামবেন। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে ২৬ রানে।

রোমাঞ্চকর শেষ দিনে কি ঘটে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার নাইটওয়াচম্যান হাসান:
অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন নাইটওয়াচম্যান হাসান মাহমুদ। দশম ওভারে এসে তাকে বোল্ড করেন তিনি। ৯ বল খেলে ১ চারে ৪ রান করেন হাসান। শাদমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক।

প্রথম উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানেই প্রথম উইকেট হারালো বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে অশ্বিনের করা প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন জাকির হাসান। ১৫ বল খেলে ১ চারে ১০ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে শাদমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা দিলো ভারত:
২৮৫ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। এরপর ইনিংস ঘোষণা দেয় তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে লিড হয়েছে ৫২ রানের। দিনের খেলা আরও ৪৫ মিনিট বাকি রয়েছে। ৩৪.৪ ওভারের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে খালেদ আহমেদের তালুবন্দি হন আকাশ দীপ। ৫ বলে ২ ছক্কায় ১২ রান করেন তিনি।

বল হাতে সাকিব ৪টি ও মিরাজ ৪টি উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ নেন ১টি উইকেট।

অষ্টম উইকেট হারালো ভারত:
দলীয় ২৮৪ রানের মাথায় গিয়ে অষ্টম উইকেট হারালো ভারত। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরে যান মারমুখী ব্যাটিং করা লোকেশ রাহুল। ৪৩ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করে যান তিনি। আকাশ দীপের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

সাকির চতুর্থ শিকার অশ্বিন:
দলীয় ২৭২ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারালো ভারত। সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন অশ্বিন। ৪ বল খেলে ১ রান করেন তিনি। এটা ছিল সাকিবের চতুর্থ উইকেট। ৩৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২৮৪। লিড হয়েছে ৫১ রানের। রাহুল ৬৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে ১২ রান নিয়ে আছেন আকাশ দীপ।

ষষ্ঠ উইকেট হারালো ভারত:
দলীয় ২৬৯ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারালো ভারত। মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। এ সময় মিরাজের বলে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে মারতে যান তিনি। বল তার ব্যাট-প্যাড হয়ে কভারে চলে যায়। সেটা তালুবন্দি করেন শান্ত। ১৩ বল খেলে ৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মারমুখী ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরি  হাঁকানো রাহুলের সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন।

সাকিবের তৃতীয় শিকার কোহলি:
দারুণ বোলিংয়ে ভারতের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ৩০তম ওভারে এসে তার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন বিরাট কোহলি। সাকিবের বলে স্লগ শট খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হয়ে যান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান। ৩৫ বল খেলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন রবীন্দ্র জাজেদা।

২৮ ওভারেই লিড নিলো ভারত:
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৩৩ রান মাত্র ২৮ ওভারেই পেরিয়ে গেল ভারত। ২৮ ওভার শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ২৩৫। কোহলি ৪৬ ও রাহুল ৪১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

২০০ রান পেরিয়ে ভারত:
মাত্র ২৫ ওভারেই ২০০ রান পেরিয়ে গেল ভারত। ২৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান। কোহলি ৩৫ ও রাহুল ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশ থেকে ভারত পিছিয়ে আছে মাত্র ২৯ রানে।

সাকিবের দ্বিতীয় শিকার পন্ত:
তৃতীয় ওভারে এসে আবারও সাফল্য পেলেন সাকিব আল হাসান। এবার তার শিকার ঋষভ পন্ত। আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ডাউন দ্য উইকেটে এসে সাকিবকে খেলতে যান পন্ত। বল তার ব্যাটে লেগে চলে যায় লং-অনে। সেখানে যথারীতি প্রস্তুত ছিলেন হাসান মাহমুদ। তিনি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি। ১১ বলে ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কোহলির সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছেন লোকেশ রাহুল।

দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পেলেন সাকিব:
প্রথম ওভারে ৮ রান দিয়েছিলেন সাকিব। তাকে একটি চার মেরেছিলেন শুভমান গিল। তবে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই গিলকে ফেরালেন সাকিব। তার বলে মারতে গিয়ে লং অফে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা পড়েন গিল। ৩৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

........................................................................................................এআই

জয়সওয়ালকে তুলে নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নামার পর থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে যাচ্ছিলেন জশস্বী জয়সওয়াল। রোহিত বিদায় নিলেও অব্যাহত ছিল এই তরুণের উইলোবাজি। অবশেষে সেই ঝড় থামালেন হাসান মাহমুদ। জয়সওয়ালকে তুলে নিয়ে চা বিরতিতে গেল বাংলাদেশ।

হাসানের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জয়সওয়াল। ৩১ বলে ফিফটি করে শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৭২ রানে থেমেছে তার ইনিংস। ক্রিজে নতুন ব্যাটার ঋষভ পন্ত। ক্রিজে অন্য ব্যাটার গিল অপরাজিত ৩০ রানে।

টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে ভারতের একশ
১০.১ ওভারেই ১০০। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম স্কোর দেখা যায়। তাই বলে টেস্ট ম্যাচে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এভাবেই করেছে ভারত।

ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার জশস্বী জয়সওয়াল ও রোহিত শর্মা। রোহিত আঊট হলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন জশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমান গিল।

উড়ন্ত সূচনায় ১০.১ ওভারেই তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত। টেস্ট বল বাই বলের হিসেব আছে এমন ম্যাচে এত কম ওভারে আর কোনো দল ১০০ করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতেরই।

২০২৩ সালে পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২.২ ওভারের ১০০ ছুঁয়েছিল ভারতীয়রা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে সবচেয়ে কম ১৩.২ ওভারে ১০০ করেছিল শ্রীলঙ্কা, ২০০১ সালে কলম্বোয়।

২৩৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
মধ্যাহ্ন বিরতির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলো না বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে রেখে দাঁড়িয়ে রইলেন মুমিনুল হক। অন্যপ্রান্তে মুড়ি-মুড়কির মতো পড়লো উইকেট। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮.২ ওভারে ২৮ রান তুলতেই শেষ চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

চোখের পলকে বিদায় নিলেন লেজের সারির তিন ব্যাটার। আর তাতেই ২৩৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। মুমিনুল অপরাজিত থাকলেন ১০৭ রানে।

টিকতে পারলেন না হাসানও
মিরাজের আউটের পর চোখের পলকে তিন উইকেট হারালো বাংলাদেশ। মিরাজ, তাইজুলের পর এবার গেলেন হাসান মাহমুদ। তাকে আউট করলেন সিরাজ। সিরাজের বল আঘাত করেছিল হাসানের প্যাডে। আম্পায়ারও তুলে দিয়েছেন আঙ্গুল। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না এই টেলএন্ডার।

নতুন ব্যাটসম্যান খালেদ। এক প্রান্তে ১০৬ রানে দাঁড়িয়ে মুমিনুল।

তাইজুলকেও ফেরালেন বুমরাহ
আগের ওভারেই বুমরা আউট করেছিলেন মিরাজকে। এবার ফেরালেন তাইজুলকেও। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করে তাইজুলকে বোল্ড করেছেন বুমরাহ। ৮ বলে ৫ রান করেছেন তাইজুল।

এক প্রান্তে মুমিনুল আছেন ১০৬ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হাসান মাহমুদ।

ভালো শুরু করেও টিকতে পারলেন না মিরাজ
মধ্যাহ্ন বিরতির পর চরাও হয়ে খেলছিলেন মিরাজ। বুমরাহকে এক ওভারেই হাঁকিয়েছেন দুটি বাউন্ডারি। কিন্তু সেই  ওভারেই বিদায় নিতে হলো তাকে। চতুর্থ বলেই ক্যাচ দিলেন স্লিপে শুভঁমান গিলের হাতে। ভালো শুরু করেও ৪২ বলে ২০ রানে থামে মিরাজের ইনিংস।

ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী নতুন ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম।

মুমিনুলের একশ
বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা–যাওয়ার মধ্যে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন মুমিনুল হক। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে নিরাপদে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। তার সঙ্গী হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

১৭২ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কার মারে ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে দুইশ রান।

৬৬ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে মধ্যান বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত আছেন ৬ রানে। ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করে প্রথম সেশন পার করলো বাংলাদেশ।  

ফিরে গেলেন সাকিব
ক্যাচে জেতায় ম্যাচ, এই উক্তিটি প্রমাণিত। ম্যাচ না জিতলেও জেতার পরিস্থিতি তৈরী করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে সাকিব আল হাসানকে বিদায় সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই বোলার।

অশ্বিনের আগের বলেই ইনসাইড আউট শটে চার মেরেছিলেন সাকিব আল হাসান। পরের বলেও তুলে মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বল উঠে যায় ওপরে। মিড অফে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ফিল্ডিং করছিলেন সিরাজ। অনেকটা পেছনে গিয়ে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেছেন তিনি।

সাকিব করেছেন ১৭ বলে ৯ রান। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী মিরাজ।

আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট লিটন
মুমিনুল হকের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে উঠেছিল। তবে সেটাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারলেন না লিটন দাস। একপ্রকার স্বেচ্ছায় আত্মহুতি দিলেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার।

সিরাজের গুড লেংথের বলটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়েন লিটন। ৩০ বলে ৩ চারে ১৩ রানে শেষ তার ইনিংস।

ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।

মুমিনুলের ফিফটি
চতুর্থ দিনের শুরুতে দুই অপরাজিত ব্যাটারের মধ্যে মুশফিকুর রহিম আউট হলেও টিকে আছেন মুমিনুল হক। একপ্রান্ত আগলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি।

মোহাম্মদ সিরাজের করা ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে পরাস্ত হন। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা হয় জয়সওয়ালের হাতে। আবেদন করতেই আঙ্গুল তুলে দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল তার ব্যাট নয় প্যাড ছুঁয়ে গেছে। বেঁচে ফিরে দ্বিতীয় বলেই জোরালো শটে চার হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল।

উইকেট বিলিয়ে দিলেন মুশদিক
আউটের ধরণ দেখে যে কারো বিস্ময় জাগতে পারে। মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের এমন আউট! জসপ্রীত বুমরার আগের বলটিও অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকেছিল। সেটি চার হলেও পরের বলটিও একই লেংথে করলেন বুমরাহ। এবার খানিকটা বাক খাওয়ালেন। আর তাতেই বিভ্রান্ত মুশফিক। ব্যাট উঁচিয়ে সেটি ছেড়ে দিলেন। বল নাড়িয়ে দিলো স্টাম্পের বেল।

২ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিক। ৪০ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুলের সঙ্গে জুটি বাধতে উইকেটে এসেছেন লিটন দাস।

বেড়েছে দুই সেশনের সময়
খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। তবে প্রথম দুই সেশনে ১৫ মিনিট করে বাড়ানো হয়েছে খেলার সময়। লাঞ্চের আগে ও পরে ১০ মিনিট করে বেশি খেলা হবে দুই সেশনে।

প্রথম সেশনে খেলা হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেশনের খেলা চলবে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট থেকে ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। তৃতীয় সেশন মাঠ গড়াবে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৫টা ৩০ পর্যন্ত।

কানপুরে রোদ, খেলা শুরু ১০টায়
অবশেষে রোদের হাসি জেগেছে কানপুরে। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই ভরপুর রোদ। ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন মুশফিক। শ্যাডো করে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন। মাঠে নেমে পড়েছেন দুই দলের বাকি খেলোয়াড়েরাও। দেখে গেছে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে। চতুর্থ দিন নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হবে।

ঢাকা/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়